প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চাঁদাবাজি মামলার আসামী শফিউল আযম লেলিন কর্তৃক মামলার স্বাক্ষীদের খুন জখমের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার খলিসাবুনিয়া গ্রামের মাকছুদুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান নয়ন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি গাবুরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সম্প্রতি একই এলাকার মৃত. নওশের আলী গাইনের ছেলে জি এম শফিউল আযম লেলিন প্রায় সময় আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় গত বছর ১৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় লেলিনের নেতৃত্বে মৃত মোস্তফা সৈয়দ আহম্মদ আলী গাইনের ছেলে ইমাম হোসেন, ইমাম হাসান, লিয়াকত সরদারের ছেলে মাহমুদুন নবী, মৃত আহম্মদ আলী গাইনের ছেলে আব্দুল মান্নান খোকা, মৃত শহিদ সরদারের ছেলে এস এম ওয়েজকুরনী, আব্দুল গফফারের ছেলে শরিফুল ইসলাম, মৃত শওকাত গাজীর ছেলে আব্দুল মান্নান,চকবারা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আতাউর রহমান, জিন্নাত ঘোরামীর ছেলে কাশেম ঘোরামী, হাবিবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান, আফছার তরফদারের ছেলে মান্নান তরফদার, মান্নান খোকার ছেলে ইমরান হোসেন গাইনবাড়ী মসজিদের উত্তর পাশে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসে উপস্থিত হয়ে আমার কাছে চাঁদার ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে লেলিনের নেতৃত্বে আমাকে মারপিট করে এবং স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিস ভাংচুর করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলায় আদালতের নির্দেশে পুলিশ তদন্ত প্রতিবাদেন দাখিল করেন।
এতে সন্ত্রাসী শফিউল আযম লেলিন ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার স্বাক্ষীদের খুন জখম সহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। তিনি আরো বলেন, এসব ঘটনায় স্বাক্ষীরা শ্যামনগর থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি ধারনা করছি জামিন পেয়ে আসামিরা এলাকায় আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। গাবুরার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলবে মর্মে তারা হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছেন। নাজমুল হাসান নয়ন আরো বলেন, শফিউল আযম লেলিন এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষকে মিথ্যা মামলা ও মারপিটের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ হানিয়ে নেয়। এছাড়া দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকার মৎস্য ঘের লুটপাট, খাস সম্পত্তি দখল করে বিক্রি করা, চাকুরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া, চাঁদাবাজি, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রতীক পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে টাকা উত্তোলনসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মারপিটসহ ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে। ভীতি প্রদর্শন করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ একাধিক চাঁদাবাজি, দুদকের মামলা, লুটপাট ও মারপিটের মামলা রয়েছে। আমি, আমার পরিবার এবং মামলার স্বাক্ষীরা তার হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি গাবুরার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে দলের ভাব মূর্তি ক্ষুনকারী চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ শফিউল আযম লেলিনসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সাতক্ষীরার আ’লীগ নেতা লেলিন কর্তৃক মামলার সাক্ষীদের খুন-জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট