হাসান হাদী : পূর্ব শত্র“তার জের ধরে এক দলিল লেখক কে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত দলিল লেখক কাটিয়া মাস্টার পাড়া এলাকার এ,এম,এম মাহফুজার রহমান খানের ছেলে এ,এস,এম মাকছুদ খাঁন। রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত মাকছুদ খাঁন বাদী হয়ে ইটাগাছা এলাকার মনিরুদ্দীন সরদারের ছেলে নাছির উদ্দিন(৩৮), দক্ষিণ কাটিয়া এলাকার মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান খান, পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার রুহুল আমিন, দহাকুলা এলাকার মৃত শেখ গোলাম হোসেনের ছেলে শেখ ফারুক হোসেন, এএসএম ওমর ফারুক ও পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার রুহুল কুদ্দুসের ছেলে সুমন হোসেনের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, অভিযোগ জানাগেছে, রোববার সকালে মাকছুদ খাঁন তার নিজস্ব কার্যালয়ে বসে দলিল লেখকের কাজ করছিলেন। এসময় উল্লেখিত ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাকছুদ খাঁনের উপর হামলা করে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। উল্লেখিত উদ্দীন ও মনিরুজ্জামান খান এসময় তার ক্যাশ বক্স ভেঙে ৮০ হাজার টাকা ও তার পকেট ৭৫ হাজার টাকা জোর পূর্বক কেড়ে নেয়। মাকছুদ খাঁনের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে মাকছুদ খান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে আহত মাকছুদ খাঁন সাংবাদিকদের জানান, তিনি সম্প্রতি একটি দলিল লেখকের লাইসেন্স নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। যেটা হামলাকারী সহ্য করতে পারিনি। কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে রেজিষ্ট্রি অফিসের সাধারণ দলিল লেখকদের জিম্মি করে রেখেছে। আমি থাকলে তারা আর সুবিধা করতে পারবে না। তাই সুযোগ বুঝে আমার উপর হামলা করে বিএনপি কর্মী নাছির, মনিরুজ্জামান খানসহ তার সহযোগিরা। এবিষয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এঘটনায় মনিরুজ্জামান খান বলেন, তার উপর কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। সে একজনের সেরেস্তা দখল করেছিল। আমি তাকে সেরেস্তা ছেড়ে দিতে বললে আমার উপর চড়াও হয়। এসময় অন্য দলিল লেখকের সাথে তার ধস্তাধস্তি হয়ে মাত্র।
পূর্ববর্তী পোস্ট