অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামের বাঁশখালী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গতকাল শনিবার পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত হয়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিউল কবির দুই মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের কাজে বাধা এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলা করেন বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেদ। এ মামলায় অজ্ঞাত দুই থেকে আড়াই হাজারজনকে আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে অপর মামলাটি করেন এসএস পাওয়ার প্লান্টের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ। এ মামলায় ২২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও অজ্ঞাত এক হাজার ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চীনা ঠিকাদারদের সঙ্গে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকরা গত শুক্রবার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। এরই সূত্র ধরে গতকাল শনিবার সকালে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ তাদের থামানোর করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন কয়েকশ শ্রমিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, শুভ (২৩), মো. রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯), রনি হোসেন (২২) ও হাবিব উল্লাহ (৩২)।