লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলায় ১৪১ জন নিহত হয়েছেন। ‘লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি’র দাবি, নিহতদের অধিকাংশই তাদের গোষ্ঠীর অনুগত সেনা। স্থানীয় বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতার লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির শীর্ষ ব্যক্তি।
মার্কিন হস্তক্ষেপে লিবিয়ার সমাজতন্ত্রপন্থী শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পাঁচ বছর পরেও থেমে থেমে সে দেশে লড়াই চলছে। এক দিকে রয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের বাহিনী। অন্য দিকে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের মুখপাত্র দাবি করেছেন, শনিবার বারাক আল-শাতি বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে অতর্কিতে হামলা চালায় সরকারের অনুগত বাহিনী। তখন কুচকাওয়াজ থেকে ফিরছিলেন বিদ্রোহী সেনার বেশ কিছু সদস্য। তাদের অনেকে নিরস্ত্রও ছিলেন। এ হামলায় ওই ঘাঁটিতে কাজ করেন এমন কিছু স্থানীয় বাসিন্দাও নিহত হয়েছেন।
বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের ‘লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি’ জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের কর্তৃত্ব স্বীকার করে না। পূর্ব লিবিয়ায় ঘাঁটি গেঁড়ে থাকা বিদ্রোহী ‘সরকারের’ মদত রয়েছে তাদের পিছনে। সম্প্রতি আবুধাবিতে দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। তার মধ্যেই বারাক আল-শাতিতে হামলার নিন্দায় সরব হয়েছে বিশ্বও।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন কবলার ও লিবিয়ায় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত পিটার মিলেট দোণীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
পূর্ব লিবিয়ার বিদ্রোহী ‘সরকার’ জানিয়েছে, এই হামলায় আবুধাবির শান্তি সমঝোতা লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই পাল্টা ব্যবস্থা নিতে নিজেদের বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তারা। দক্ষিণ লিবিয়ায় সব বিরোধী মিলিশিয়াকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
কূটনীতিকরা বলছেন, দক্ষিণ লিবিয়ার প্রধান শহর সেওয়ায় ‘থার্ড ফোর্স’-এর একটি বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে এক মাস আগে হাফতারের বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। তার বদলা নিতেই এ হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে।