প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পরসম্পদ লোভী রুমি ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনী কর্তৃক মিথ্যেচারের প্রতিবাদে এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন এক বৃদ্ধা। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার ফয়জুল্লাপুর গ্রামের মৃত আশরাফউদ্দীনের স্ত্রী তাহেরা বানু এই দাবি জানান।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বড় ছেলে ঠিকাদার এম.এ.কে হেলাল উদ্দনীকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়ার কিছুদিন পর স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায়। এই অবস্থায় গত ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আমার ছেলে মারা যায়। কিন্তু তার মৃত্যুর পর খুলনার বাগমারা সবেদাতলা এলাকার খলিল আনছারীর মেয়ে শহরের মুনজিতপুর নাজমুল হুদার বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহিদা অনছারী রুমি (৫২) আমার প্রায়ত ছেলে স্ত্রী হিসাবে দাবি করে তার ঔরসে জন্ম নেয়া হুমায়ারা (৫) নামে একটি মেয়ে রয়েছে বলে জানায়। কিন্ত আমার ছেলের তার স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর আর কাউকে বিয়ে করেছিল কিনা তা পরিবারের কারো জানা নেই। হঠাৎ করে রুমি আমার প্রায়ত ছেলেকে নিজের স্বামী দাবি করে তার নগদ টাকা, রোড রুলার সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করে অত্মসাৎ করে এবং অবৈধভাবে তার সহায় সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। বৃদ্ধা তাহেরা বানু অভিযোগ করে বলেন, পরবর্তীতে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি যে, শাহিদা অনছারী রুমি’র ৩৫ এবং ২৫ বছরের দু’টি ছেলে রয়েছে। তার স্বামীর নাম রিয়াসাত হোসেন খান চৌধুরী। ৩/১/৮৫ সালে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে রুমি প্রতারনামূলকভাবে ২০১২ সালের ২৮ মে আমার ছেলে হেলালকে বিয়ে করে এবং ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ প্রথম স্বামী রিয়াসাতকে তালাকের নোটিশ পাঠায়। তবে শাহিদা অনছারী রুমি আমার ছেলে হেলালের সাথে বিয়ের সময় কাবিন নামায় যে পরিচয়পত্রের নম্বার দিয়েছিল তার সাথে বর্তমান পরিচয়পত্রের নাম্বারের কোন মিল নেই। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়িক কারনে হেলাল উদ্দীন আমার মেয়ে ফিরোজা ও ছোট ছেলে নাছির উদ্দীনের সম্পত্তি ব্যাংতে মটগেজ দিয়ে লোন উত্তোলন। সব মিলে হেলাল উদ্দীনের কাছে তাদের দু’ভাই বোনের ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা পাওনা হয়। কিন্তু সে লোন পরিশোধ করতে পারেনি। হেলাল মারা যাওয়া আগে ২০১৮ সালের ২২ আগষ্ট নাছিরকে ৪০ লক্ষ ও ২০ লক্ষ টাকার পৃথক দু’টি চেক এবং ২০১৯ সালের ১৬ জুন বোন ফিরোজা পারভীনকে ৭০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করে। চেক বুনিয়াদে তারা মামলা করলে আদালত হেলালের লাইসেন্সসহ জায়গাজমি ক্রোকী আদেশ দেন এবং আদালত নিজের তত্ত্বাবধায়নে রাখেন। রুমি ইতিমধ্যে প্রায়ত ছেলে হেলাল উদ্দীনের ওয়ারেশ হিসাবে আদালত থেকে একটি সাকসেশন সার্টিফিকেট নিয়েছে। কিন্তু মানি ৬/১৯ নং মামলার ৩ নং আদেশ উপেক্ষা করে ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের আনারুল গাজী, তাঁতীলীগ নেতা মিলন রায়, অবসরপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য তাজুল ইসলামসহ ৭/৮ জনকে ভাড়া করে রুমি গত ১৬ মে আমাদের বাড়িতে যায় এবং ১ বিঘা জমিতে থাকা আম গাছ থেকে জোরপূর্বক আম পাড়তে থাকে। বাধা দিতে গেলে উল্লেখিতরা আমাকে খুনজখমসহ বিভিন্ন ধরনে হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে স্বার্থ উদ্ধারের জন্য গত ১৯ মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জঘন্য মিথ্যেচার করে আমার ছেলে এবং সাতক্ষীরার গর্ব অতিরিক্ত আইজিপি ময়নুর রহমান চৌধুরীর ভাই মিজান চৌধুরীকে জড়িয়ে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে। এসব বিষয়ে মিজানুর রহামন চৌধুরী কিছুই জানেন না। প্রকৃত পক্ষে ষড়যন্ত্রকারি কুচক্রী মহল তার এবং তার ভাইয়ের সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এধরনের মিথ্যেচার করেছে। আমরা এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি রুমি ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর হাত থেকে আমাদের সম্পত্তি রক্ষা এবং আমাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।