নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষনের পর গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। স্থানীয়ভাবে চাপপ্রয়োগ করে ২৫ হাজার টাকা মিমাংসা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা শহরের বাটকেখালি এলাকায়।
ভুক্তভোগীর পিতা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে ঘটনার বিবরণে বলেন, গত রমজান মাসে তার কন্যা পাশের বাড়ি নজরুল ইসলামের ছাদে প্রতিদিন যেত। একদিন নজরুলের বাড়ি কেউ না থাকায় আমার কন্যাকে টাকা ও খাবার কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের ভিতরে ডাকে। আমার কন্যা ঘরের ভিতরে যেতেই তার গায়ে হাত দেয়। বাধা দিলেও তার কোন কথা না শুনে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। বিষয়টি বাবা মায়ের সঙ্গে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এভাবে আমার কন্যাকে জোরপূর্বক তিনবার ধর্ষন করে।
গতমাসে আমার কন্যা বুঝতে পারে সে সন্তান সম্ভবা। সে সময় আমার কন্যা বিষয়টি তার মাতাকে সব খুলে বলে। পরবর্তীতে নজরুল ইসলামের স্ত্রী কৌশলে আমার কন্যাকে ডেকে নিয়ে সকলের অগচরে ওষুধ খাইয়ে দেয়। তখন গর্ভপাত হয়ে যায়।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী পরিবারটি অসহায় প্রকৃতির হওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় কথিত গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ২৫ হাজার টাকায় মীমাংসা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে বাটকেখালি গ্রামের সন্তোসের ছেলে নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ভুল করে ফেলেছি। বুঝতে পারিনি এমন হবে। পাশাপাশি বসবাস। কিভাবে মীমাংসা করবো সেই চেষ্টা করছি। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার পরিবার দোষীকে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবী জানিয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।