জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৪৪নং বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার স্কুল অনুমোদনের জন্য যে সব শর্ত রেখেছে তার মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে স্কুলে খেলার মাঠ থাকা। সরকারের শর্ত পূরণ করতে সদর উপজেলার সম্মুখে রয়েছে বলাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে বৃহৎ মাঠের ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু অপ্রিয় সত্য হল সেখানকার চিত্র দেখলে মনে হয়, এটি খেলার মাঠ নয়, বরং মাছ চাষের আবাদ। বিদ্যালয়ে প্রায় ২শত জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। স্কুল শুরুর আগে ও পরে স্কুল মাঠ ছাত্রছাত্রীদের কলকাকুলিতে ভরে ওঠে। এলাকার শত শত ছেলেমেয়েদের স্কুল সময়ে মুক্ত আবহাওয়া প্রাপ্তি, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, ক্রীড়া-বিনোদনের জন্য এটি ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু টানা বর্ষণের কারণে সেখানে বর্তমানে খেলার কোন সুযোগ নেই বরং হাটু পানিতে কিংবা তারও বেশী পানি জমে আছে। বাধ্য হয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের অনুষ্ঠান কোন রকমে সেরে নিতে হচ্ছে। মাঠটি এখন পানিতে টইটম্বুর। ফলে স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি এলাকার খেলাধূলা ও মুক্ত অবকাশের জন্য ব্যবহৃত মাঠটি ব্যবহারের সুযোগ বঞ্চিত হয়ে শিশু ও যুব সম্প্রদায় মনোকষ্টে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মাঠের পানি নিস্কাশনের জন্য সুব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে মাঠটি পানিতে তলিয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, স্কুলের মাঠ ১ থেকে দেড় ২ ফুট পানিতে তলিয়ে থাকে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত মাঠটি ব্যবহার করা যায়না। স্কুলের মাঠের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মল্লিকা পারভীন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে স্কুলে আসতে অসুবিধা হয়। অনেক সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে জামাকাপড়, বই খাতা ভিজে যায়। ৫ম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা স্কুল মাঠে এসময় খেলাধুলা করতে পারি না। পানিতে সবাই মিলে লাইনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারি না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইকবাল আনোয়ার সুমন বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেক অসুবিধা হয়। এব্যাপারে আমি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেব। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. মাহমুদুর রহমান স্বপন সহ এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট