আসাদুজ্জামান : সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিনই করোনায় সংক্রমনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে জেলায় মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ৮ জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
অন্যজন একটি বেসরকারী হাসপাতালে মারা গেছেন। এনিয়ে, জেলায় ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ২৯৭ জন। আর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৬৩ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৬৭ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৩৪ জন। বর্তমানে ৩৯০ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন মোট ৪২ জন।
এদিকে, তৃতীয় সপ্তাহের চলমান লকডাউন আজ রাত ১২ টায় শেষ হতে যাচ্ছে। লকডাউনের শেষ দিনে শহরের অধিকাংশ দোকান পাট আংশিক খোলা রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে শহর ও গ্রামাঞ্চলের হাট বাজার গুলোতে জনসমাগম। মানা হচ্ছে না সরকারের দেয়া স্বাস্থ্য বিধি। চলছে ঢিলে ঢালা লকডাইন।
তবে, পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রন করছেন এবং সাধারন মানুষ যাতে বিনাপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না আসেন সে জন্য সচেতনতা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে যারা বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। জব্দ করা হচ্ছে মটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইক। এদিকে, লকডাউনের মধ্যে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ না হওয়ায় লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে বিকালে ভার্চুয়াল সভার আহবান করেছেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত জানান, লকডাউন আরো বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে বিকালে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে, জেলায় করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ না হওয়ায় তিনি আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করবেন বলে জানান। তিনি এ সময় সকলকে মাস্ক পরার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।