বিদেশের খবর : যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শাউভিনকে সাড়ে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিচারক কাঠগড়ায় বসে থাকা শাউভিনের উদ্দেশে বলেন, ‘কর্তৃত্ব ও আস্থার অবস্থানে থেকে এর অপব্যবহার করেছেন’ এবং যে ‘সুনির্দিষ্ট নিষ্ঠুরতা’ আপনি দেখিয়েছেন তার ভিত্তিতে আপনার শাস্তি নির্ধারিত হলো।
মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের আইনি ভিন্নতার পরিপ্রেক্ষিতে সাড়ে ২২ বছরের মধ্যে ১৫ বছর সরাসরি কারাবরণের পর বাকি সাড়ে সাত বছর পর্যবেক্ষণে থেকে কারামুক্ত থাকবেন তিনি। এ ছাড়া শাস্তির অংশ হিসেবে তাঁকে আজীবন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
দ্বিতীয়-মাত্রার হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ফ্লয়েডকে হাঁটুর নিচে চেপে ধরে রাখা পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শাউভিন। মিনিয়াপোলিসের শিকাগো স্ট্রিটে টানা ৯ মিনিট ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু রেখে মাটিতে চেপে ধরে রাখলে ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ সময় ফ্লয়েড চিৎকার করে বলেছিলেন, তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না।
এক তরুণীর করা এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ৪৮ বছর বয়সী ফ্লয়েড হত্যার বিচার দাবিতে কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার আন্দোলন শুরু হয়।
ফ্লয়েডের নাগরিক অধিকার হরণের দায়ে ডেরেক শাউভিন ও অপর তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আলাদাভাবে বিচার কাজ শুরু হয়। চাকরিচ্যুত হন ৪৫ বছর বয়সী পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শাউভিন।
২২ পৃষ্ঠার রায় ঘোষণার সময় বিচারক পিটার কাহিল উল্লেখ করেছেন, আবেগ কিংবা জনমতের ভিত্তিতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি নির্ধারিত হয়নি।
ডেরেক শাউভিনের আইনজীবী বলেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে ভালো উদ্দেশে কাজ করতে গিয়ে ভুল হয়েছে।’
জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারও এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাঁরা একে স্বাগত জানিয়েছেন। ফ্লয়েডের আইনজীবী বেন ক্রাম্প টুইট করে বলেছেন, ‘ঐতিহাসিক এই রায় ফ্লয়েড পরিবার ও গোটা জাতিকে জবাবদিহিতার স্বস্তির বার্তা দিয়েছে।’