আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের করনিক প্রদীপ মন্ডলের নেতৃত্বে আশাশুনি উপজেলার ফটিকখালি দেয়াবকসিয়া গ্রামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে শনিবার দুপুরে ফটিকখালি জগদ্ধাত্রী মন্দির প্রাঙ্গনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
ডাঃ নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন রায়, ইউপি সদস্য রামপদ সানা, ইউপি সদস্য অনুপ সানা, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক অরুন মন্ডল, শিক্ষক পশুপতি রায় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের করণিক প্রদীপ মন্ডল জেলা শিক্ষা অফিসে থাকাকালীন আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে চাকুরির দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন। সাতক্ষীরা শহরে গড়ে তুলেছেন বিলাস বহুল বাড়ি। তার দ্বারা প্রতারনার শিকার ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরৎ না দেওয়ার জন্য তিনি গদাইপুরের অহিদুল মোল্লার সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যবহার করে থাকেন। সম্প্রতি তাদের গ্রামে চাচা ভাতিজার মধ্যে অসম বিয়ের ঘটনায় স্থানীয়রা ওই পরিবারকে বয়কট করে। প্রদীপ মন্ডল এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে অহিদুল বাহিনীর ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে স্থানীয় বিধান মন্ডলকে পিটিয়ে জখম করে। গ্রামবাসি ওইসব সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে রবিউল মোল্লা নামের এক সন্ত্রাসীর মোটর সাইকেলসহ তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বক্তারা এ সময় দূর্নীতিবাজ প্রদীপ মন্ডল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর শাস্তির জোরদাবী জানান।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রদীপ মন্ডলের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে প্রদীপ মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার প্রতিপক্ষরা এ ধরণের অপবাদ দিচ্ছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবীর জানান, হামলার ঘটনায় বিধান চন্দ্র মন্ডল বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিউল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।