স্পোর্টস ডেস্ক : তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বি-গ্রুপে শেষ আট নিশ্চিত ছিল আগেই। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে যাওয়া মিশনে সোমবার নামে আর্জেন্টিনা।
যে কারণে বিশ্রাম পাননি দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি।
মেসিও কথা রাখলেন। তার অসাধারণ নৈপুণ্যে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানের জয় পেলেন আলবিসেলেস্তেরা। বিশাল ব্যবধানের এই জয়ে আর্জেন্টিনা গ্রুপসেরা হয়েই উঠে গেছে শেষ আটে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুই গ্রুপে সবার সেরা আর্জেন্টিনা।
এই চার গোলের তিনটিতেই মেসির অবদান। নিজে করেছেন জোড়া গোল। একটি করিয়েছেন।
কুইয়াবার অ্যারেনা পানতানালে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোরে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে বলিভিয়ার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা।
এদিন জোড়া গোল করেছেন মেসি, একটি করে আলেহান্দ্রো গোমেস ও লাউতারো মার্তিনেস।
এক হালির স্থলে বলিভিয়ার জালে আরও গোল জমা হতে পারত। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক চমৎকার সেভে ব্যবধান আর বড় হতে দেননি বলিভিয়া গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পে।
বলিভিয়াকে শুরুতেই চেপে ধরা আর্জেন্টিনা এগিয়ে যেতে পারত চতুর্থ মিনিটে। গনসালো মনতিয়েলের ক্রসে সের্হিও আগুয়েরোর শট ঠেকান লাম্পে। ফিরতি বলে আনহেল কোররেয়ার শটও আটকে দেন এই গোলরক্ষক।
কিন্তু ষষ্ঠ মিনিটে আর পারেননি লাম্পে। কোররেয়ার কাছ থেকে ডি বক্সের ঠিক বাইরে বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে বল বাড়ান মেসি। চমৎকার ভলিতে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন গোমেস।
৩৩তম মিনিটে ডি বক্সে গোমেসকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। সুযোগ হাতছাড়া করেননি মেসি। সফল স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
৩৬তম মিনিটে ডি বক্সের মাথা থেকে কোররেয়ার দুর্দান্ত এক শট ঠেকান বলিভিয়ার গোলরক্ষক।
এর তিন মিনিট পর নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানি। জেয়সন চুরার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
তবে ৪২তম মিনিটে মেসিকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি কার্লোস লাম্পে। মাঝ মাঠ থেকে আগুয়েরোরে বাড়ানো বল নিয়ে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যান মেসি। মেসিকে ঠেকাতে এগিয়ে আসেন বলিভিয়ার গোলরক্ষক।
তবে মেসির নৈপুণ্যের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয় তাকে। তার মাথার ওপর দিয়ে জালে বল পাঠান আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। দেশের হয়ে এটি মেসির ৭৫তম গোল, কোপা আমেরিকায় ১২তম।
স্কোর ৩-০ করেন মেসি। বিরতির পর মাঠে ফিরে ব্যবধান কমায় বলিভিয়া। ৬০তম মিনিটে কাউন্টার এটাকে লিওনেল জুস্তিনিয়ানোর ক্রসে বুলেট গতির শটে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়িয়ে দেন এরউইন সাভেদ্রা।
স্কোরলাইন তখন ৩-১।
অবশ্য ৫১ মিনিটে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু অল্পের জন্য শটটা অফসাইড হয়ে যায়। এর পর যোগ করা সময়েও হ্যাটট্রিক পেয়েই যাচ্ছিলেন মেসি। কাছের পোস্টে তার শট ঠেকিয়ে দেন লাম্পে।
৬৩তম মিনিটে বদলি নেমে দুই মিনিটের মধ্যে জালের দেখা পেয়ে যান লাউতারো মার্তিনেস।
রেফারির শেষ বাঁশিতে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিওনেল স্কলানির শিষ্যরা। ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা আর্জেন্টিনা।
কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরকে পাবেন মেসিরা।