দেশের খবর : কারাবন্দি অবস্থাতেই জুম অ্যাপে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন মিটিং করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলের আট কারারক্ষীকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রধান কারারক্ষী ছাড়াও আরও সাতজন সাধারণ কারারক্ষী আছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধান কারারক্ষী আবদুস সালামসহ রফিকুল আমীনের পাহারায় থাকা আটজন কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রিজন সেলে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য একজন ডেপুটি জেলারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা অধিদপ্তর। কমিটির প্রধান করা হয়েছে কারা অধিদপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক (ঢাকা) তৌহিদুল ইসলামকে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের অক্টোবরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে চারবার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও ৯৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুই মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের প্রিজন সেলে আছেন রফিকুল আমিন। অসুস্থতার অজুহাত কাজে লাগিয়ে তিনি কারা তত্ত্বাবধানে থেকেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। জুম মিটিংয়ের সাম্প্রতিক কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, নতুন এমএলএম ব্যবসার জন্য শিগগির এক হাজার ৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথা বলছেন তিনি। মিটিংয়ের ভিডিওতে তাকে ‘মিস্টার এ’ নামে দেখা গেছে, প্রোফাইল ছবিতে লেখা ছিল ইংরেজি হরফ ‘আর’। এতে ডেসটিনির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও যুক্ত ছিলেন।
এমন অভিযোগ ওঠার পর আট কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে, তা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।