দেশের খবর : সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরো ১২ হাজার ১৯৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জন।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৭ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬২৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ৫০টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৪৭টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৩ হাজার ৬৩১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ হাজার ৭৫৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২০৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন, খুলনা বিভাগে ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে পাঁচজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে ১৫ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছয়জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।