ডেস্ক রিপোর্ট: ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা সিমোন ও’ কানে। পেশায় টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার। স্ত্রীর নাম লিয়েন্ড্রা। আর নিজের স্ত্রীকে নিয়েই অদ্ভুত এক ঘটনার জন্ম দিলেন সিমোন।
অনলাইনে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে জানালেন, স্ত্রীকে বিক্রি করে দিবেন। বিজ্ঞাপনের ভাষাটিও অন্যরকম। যেখানে লেখা হয়েছে- নাম- লিয়েন্ড্রা। বয়স- ২৭। স্ট্যাটাস- ব্যবহৃত স্ত্রী। তবে এখনও তার মধ্যে অনেক কিছু বাকি রয়েছে। ভালো গুণ- রান্না ভালোই পারেন। তবে অনেক সময় তা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। খারাপ গুণ- কোনো জিনিস চাইলে তা না পাওয়া পর্যন্ত শান্ত হন না।
বিক্রির কারণ- স্ত্রীকে নিয়ে আমি সম্পৃক্ত। এবারে তার জীবনে অন্য কেউ আসা প্রয়োজন। শর্ত- একবার কিনে নিলে তা আর ফেরত নেয়া হবে না। অনলাইনে এমন বিজ্ঞাপন দেখে চমকে উঠেছেন অনেকে। অনেকে আবার আহ্লাদে আমোদিত কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন সিমোন? অভিযোগ, স্ত্রীর জ্বালায় নাকি ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তিতে থাকতে পারেন না। অফিস থেকে রোজ ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরতেন।
আর বাড়িতে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লিয়েন্ড্রা চিৎকার জুড়ে দিতেন। যে কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়েই চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। দিন কয়েক আগেও এমন ঘটনার পর ভয়ঙ্কর বিরক্তিতেই নাকি এই কু-বুদ্ধিটা মাথায় খেলে। দেরি না করে অনলাইন কেনাবেচার সাইটে বউ বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে দেন।
একবার হাতবদল হলে তা যে আর ফেরত নেয়া হবে না সে শর্তও খোলসা করে লিখে দেন। বিস্ময়কর ভাবে সত্যি সত্যিই বেশ সাড়া মেলে বিজ্ঞাপনে। ‘ইচ্ছুক’ বেশ কয়েকজন সিমোনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মাত্র দুদিনের মধ্যে দরাদরিতে ‘দাম’ ওঠে ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৮৯ টাকা!
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপনটি নজরে পড়ে যায় অনলাইন সংস্থাটির। সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিয়েও দেয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে যায়। স্বামীর এই কীর্তিতে কর্মক্ষেত্রে চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় লিয়েন্ড্রাকে।
প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত, দুই সন্তানের মা, লিয়েন্ড্রা বলছেন, ‘আমাকে শুধু বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাই নয়, আমার খুব বাজে একটা ছবিও আপলোড করেছে। ওকে আমার খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছিল।’ আর এত কাণ্ড ঘটালেন যিনি, সেই সিমোনের বক্তব্য, নেহাত মজা করেই তিনি নাকি এসব করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট