বিদেশের খবর : চলতি বছরেই বিশ্বকে ২০০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহের কথা জানালেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
তিনি বলেন, বিশ্বকে কোভিড-১৯ থেকে বাঁচাতে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে তার দেশ। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কো-অপারেশন ফোরামে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে শি জিনপিং এ আশ্বাস দেন।
এতে তিনি আরও বলেন, কোভ্যাক্স গ্লোবালের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি ও বিতরণে চীন ১০ কোটি ডলার অনুদান দেবে। বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, চীন এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৭৭ কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।
দেশটির ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেকের ভ্যাকসিনই সব থেকে বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। অন্তত ২০টি দেশের সঙ্গে ৯০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে কোম্পানিটির।
দ. আফ্রিকায় দারুণ কাজ করছে জনসনের ভ্যাকসিন : দক্ষিণ আফ্রিকায় দারুণ কাজ করছে জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।
এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে দেশটিতে গুরুতর কোভিডে আক্রান্ত রোগী এবং কোভিডে মৃতের সংখ্যা উভয়ই কমিয়ে আনা গেছে।
শুক্রবার দেশটিতে এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সহকারী প্রধান এ দাবি করেছেন। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন গত ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে দেয়া শুরু হয়। মে মাস নাগাদ প্রায় চার লাখ ৭৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
এপ্রিল মাসেই এই ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার ওষুধ নিয়ন্ত্রকরা। বর্তমানে ফাইজারের পাশাপাশি এই ভ্যাকসিন দেশটির জাতীয় ভ্যাকসিন কার্যক্রমে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশটির থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৯১ থেকে ৯৬.২ শতাংশ সুরক্ষা দেয়।
বাণিজ্যিক ছাড়পত্র চাইবে না সেরাম : কোভিশিল্ড বাজারজাতকরণের জন্য ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে আলাদা কোনো ছাড়পত্রের আবেদন করবে না সেরাম ইনস্টিটিউট।
কারণ সেরামের অংশীদার অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতোমধ্যে ভারতীয় সংস্থাটিকে বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র হিসাবে বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। এই ‘মার্কেটিং অ্যাপ্রুভাল’ বা বিপণন অনুমতি হচ্ছে ইউরোপ ভ্রমণে ‘গ্রিন পাস’-এর জন্য টিকার অনুমোদন সম্পর্কিত অন্যতম শর্ত।
ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে তৈরি করেছে করোনা টিকা ভ্যাক্সজেভ্রিয়া।