ফিংড়ি প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের গাভা গ্রামে মোটর সাইকেলের জন্য পিতা মাতাকে ঘুমের বড়ি খাওয়ালো পুত্র।জানা গেছে গাভা গ্রামের মহাদেব দাশের পুত্র মৃনাল কুমার দাশ ( ২০),পিতা মাতার নিকট থেকে মোটরসাইকেল দাবি করে আসছে প্রায় বছর খানেক ধরে,কিন্তু পিতা মাতা মোটর সাইকেল না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে,অথচ পুত্র মৃনাল দাশ আর ধৈর্য ধরতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে রান্না করা তরকারির সাথে ১৫ টি ঘুমের বড়ি মিশিয়ে রাখলে ঘুমের বড়ি মিশানো তরকারি মৃনাল দাশের পিতা মহাদেব সরদার,মাতা বাসন্তি রানি খাওয়ার পর অচেতন হয়ে পড়তে থাকা অবস্হায় পিতা মাতার সন্দেহ হয় পুত্রের উপর, এ নিয়ে পুত্রের সাথে পিতা মাতার ঝগড়া ও হয়,এমনকি পুত্র মৃনাল দাশ পিতা মাতাকে মারধর ও করে,রাতে মহাদেব সরদার ও বাসন্তি রানি দু জনই ঘুমের বড়ি মিশানো তরকারি খেয়ে ঝগড়া শেষে ঘুমের জন্য পর্যায় ক্রমে অচেতন হয়ে পড়ে,শুক্রবার সকাল ৮টার সময় প্রতিবেশি লোকজন দেখতে পায় মহাদেব সরদার ও বাসন্তি রানি অচেতন অবস্হায় পড়ে আছে।
সংগে সংগে ব্যাংদহা বাজারের আরোগ্য নিকেতন ক্লিনিকের ডাক্তার দেব্রত কুমার মিত্রকে ডেকে নিয়ে মহাদেব সরদার ও বাসন্তি রানি কে চিকিৎসা দেওয়া হয়,শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার সময় ডাক্তার দেব্রত কুমার মিত্র সহ প্রতিবেশি লোকজন জানায় মহাদেব সরদার ও বাসন্তি রানি এখনও অচেতন আছে তবে স্যালাইন চলছে,দ্রুত দু জনই সুস্হ হয়ে উঠবে।ঘটনা টি শোনার জন্য এবং অচেতন মহাদেব সরদার ও বাসন্তি রানি কে এক নজর দেখার জন্য স্হানিয় ও বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকসমাগম হচ্ছে ব্যাপক ভাবে,এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পিতা মাতাকে মোটর সাইকেলের জন্য ঘুমের বড়ি মিশানো তরকারি খাওয়ানো পুত্র মৃনাল দাশ বর্তমানে বাড়ীতেই আছে কোথাও চলেযাবে না এজন্য স্হানিয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে মৃনাল কুমার দাশকে নরজদারিতে বাড়ীতেই রাখা হয়েছে। তবে এ নিয়ে এলাকার সর্বত্রই চলছে মুখরচুর আলোচনা সমালোচনা।