নিজস্ব প্রতিনিধি :
কলারোয়ার কেড়াগাছি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা শহর থেকে আটক করা হয়।
তিনি কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের হেমায়েত উদ্দীনের পুত্র এবং আওয়ামীলীগের সদ্য বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির জানান, বুধবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের সহযোগিতায় কলারোয়া থানা পুলিশ তাকে আটক করে। আটককৃত মারুফ হোসেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ভুট্টোলাল গাইন ও তার নেতাকর্মীর উপর হামলা মামলার ২নং আসামী।
উল্লেখ্য: কলারোয়া উপজেলার ৫ নং কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেনের মোটর সাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনা জানাজানি হলে, বিকেলে মারুফ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা পাল্টা কাকডাঙ্গা মোড় এলাকায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় রাত ৮টার দিকে বোয়ালিয়া উত্তর পাড়া এলাকায় আওয়ামীলীগের আর এক বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল ও নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ভুট্টোলাল গাইন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় ভুট্টোলাল গাইনের স্ত্রী শ্যামলী রানী বাদী হয়ে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ঘটনায় পুলিশ ৫জনকে আটক করে।
এদিকে , জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় এবং দলীয় প্রার্থীর (নৌকার) নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও দলীয় প্রার্থীসহ তার কর্র্মীদের মারপিট করে আহত করার ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিলকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করেন।