নয় বছরের সাজাভোগের পর বাড়ি ফিরলেন ইন্দোনেশিয়ায় মাদক বহনের দায়ে অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক চ্যাপেলে করবি। তিনি ‘গাঞ্জা কুইন’ বা ‘গাঁজার রানী’ হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন।
বিবিসি জানায়, যাবজ্জীবন সাজার শাস্তির নয় বছর তিন মাস ২৯ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর শনিবার তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে ইন্দোনেশীয় সরকার।
মুক্তি পেয়ে অস্ট্রেলিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে চড়ে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের রাজধানী ব্রিসবেনে পৌঁছান চ্যাপেলে করবি। সেখানেই তাঁর বাড়ি।
৪৮ বছর বয়সী চ্যাপেলে পেশায় ছিলেন একজন বিউটি থেরাপিস্ট। ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি বিমানবন্দরে সার্ফিং গিয়ারে লুকিয়ে ৪ দশমিক ২ কেজি মারিজুয়ানা (গাঁজাজাতীয় মাদকদ্রব্য) বহনের দায়ে অভিযুক্ত হন তিনি। পরের বছর তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় দেশটির সরকার।
তবে করবি বারবার বলেছেন, তিনি দোষী নন। কেউ তাঁর ব্যাগের সার্ফিংয়ের সরঞ্জামে ষড়যন্ত্র করে মাদক ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার আদালত তাঁর এই দাবি আমলে নেয়নি।
২০০৫ সালে করবির বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার আদালতে সাজা ঘোষণার পর অনেক অস্ট্রেলীয়ই মনে করেছিলেন, কঠোর এই সাজার মাধ্যমে করবির প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। এই সাজা ঘোষণা অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল।
সাজা পাওয়া চ্যাপেলে করবিকে নিয়ে ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় একটি তথ্যচিত্র বানান খ্যাতনামা নির্মাতা জ্যানিং হসকিং। ওই তথ্যচিত্রে তাঁকে প্রথম ‘গাঁজা রানী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
এদিকে, অস্ট্রেলীয় এই মাদকসম্রাজ্ঞীকে ফেরত পাঠানোর আগে ইন্দোনেশিয়ায় শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিবিসির প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা করবিকে তাঁর বোন সাংবাদিকদের ক্যামেরা থেকে আড়াল করে গাড়িতে তুলছেন।