বিশেষ ডেস্ক : প্রতিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মতো নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে উপজেলা পরিষদ ভবনের সাইনবোর্ডে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের পরিবর্তে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় লেখা সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ধারা ১৩(ক),১৩(খ) ও ১৩(গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সপ্তাহে এ আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত লিখিত আদেশ প্রকাশ হয়। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও ড. মহিউদ্দিন মো. আলামিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের ১৫ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ক্ষমতা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান এ রিট দায়ের করেন।
এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য ইউএনওদের প্রতি নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে এর আগে জারি করা সার্কুলার অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইউএনওরা যাতে ওই সার্কুলার অনুসরণ করেন সেজন্য পৃথক আরেকটি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের এক সম্পূরক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।