দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ সংকট নিরসনে টেকসই বাঁধ সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের একটি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের আহবায়ক প্রফেসর আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে এবং জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন,সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আসাদুজ্জামান বাবু।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এর আয়োজনে সুন্দরবন ফাউন্ডেশন ও লিডার্স’র সহযোগিতায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিছুর রহিম, প্রগতির নির্বাহী পরিচালক আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য এড. শাহনাজ পারভীন মিলি, সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ আফজাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি(বেলা) এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল। নাগরিক নেতা সুধাংশু শেখর সরকার।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মরিয়ম মান্নান, মাধব চন্দ্র দত্ত, আবু জাফর সিদ্দিকী, মহুয়া মঞ্জুরি, খুরশিদ জাহান শীলা।
বক্তারা বলেন, টেকসই বেড়ীবাঁধ এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি। প্রতি বছর বাঁধ নির্মাণ হয়। আবার প্রতিবছর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়। প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি বাঁধ নির্মাণে ব্যয় করেন। কিন্তু দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দাবি পূরণ হয় না। টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ ছাড়া এ অঞ্চলের মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব না। বক্তারা টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণ। বাধ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। বেড়ীবাধ নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনায় টিআরএম এর বিষয়টি বিবেচনায় রাখা। রাস্তাকে ঘেরে বেড়ীবাঁধ হিসেবে ব্যবহার না করতে দেওয়া, বাঁধ ছিদ্র করে লবনপানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধ করা। কৃষি জমিতে জোরপূর্বক লোনা পানি উত্তোলন করে চিংড়ী চাষ বন্ধ করা। চিংড়ী চাষের জন্য চিংড়ী জোন করা। এছাড়া আগামী আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ক্ষতিপূরণ দাবি আদায়ে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি