নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে স্বাধীন সার্বভৌমত্ব এনে দিয়েছিল। ১৯৭৫ সালে সেই মহান ব্যক্তিকে স্ব পরিবারে হত্যা করা হয়। মানবসভ্যতার ইতিহাসের নৃশংসতম দিন ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারুলিয়ার ক্যাফে লুৎফি তে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খানের এর গ্রন্থ প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় নৃশংস পনের-ই আগস্ট বই এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার একমাত্র জীবিত প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বাড়তি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি সুপারিন্টেন্ড অব পুলিশ (পরবর্তীতে এসপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খানের লেখা বই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস ঘটনায় লেখক নিজেও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরবর্তীতে মামলার সাক্ষী হওয়ার কারণে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খান লিখিত বইটিতে যে সব তথ্য রয়েছে আইন পেশার জড়িতদের খুবই প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বইটি থেকে নিতে পারবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তার মহান পিতাকে নিয়ে লেখা বইটির প্রকাশনা উৎসবে অংশ নিতে পেরে আমি লেখকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
অনুষ্ঠিত প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সাতক্ষীরা রাজাপাল শাখার আহ্বায়ক আবু রায়হান তীতু।
প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। হাফিজুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের বিচার বিভাগের বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান ভাষাসৈনিক বীর মুক্তিযাদ্ধা লুৎফর রহমান সরদারের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এ কবর জিয়ারাত করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান। এসময় সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরসহ সাতক্ষীরা জেলা জজশিপের বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।