নিজস্ব প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল চেষ্টায় মামলা করে বিপাকে পড়েছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের তিনি ওই সরকারি কর্মকর্তা।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কালিগঞ্জের রহিমপুর গ্রামে মৃত শেখ ওবায়দুল মান্নানের পুত্র শামসুল আলম সরকারি চাকুরির সুবাদে বাইরে ছিলেন। এ সুযোগে রহিমপুর গ্রামের মৃত শেখ আবুল হোসেনের পুত্র আকবর হোসেন, মৃত গনিয়ার রহমানের পুত্র শেখ ফজলুর রহমান, শেখ লুৎফর রহমান, মৃত মাহবুব রহমানের পুত্র শেখ আরিফুল ইসলাম, শেখ আকবার হোসেনের পুত্র শেখ অনিব, শেখ অঞ্জন, ফজলুর রহমানের পুত্র শেখ সাব্বির হোসেন, মৃত শেখ রহমত আলীর পুত্র শেখ ইসরাইল হোসেন, মৃত শেখ মনিয়ার রহমানের পুত্র হবিবর রহমান, কাশিবাটী গ্রামের শেখ আমিনুর রহমানের পুত্র শেখ নুরুজ্জামান, রহিমপুর গ্রামের আকবর হোসেনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন, ফজলুর রহমানের স্ত্রী সাবিনা খাতুন, লুৎফর রহমানের স্ত্রী আমেনা খাতুন, সাইফুল ইসলামের স্ত্রী সালমা খাতুন, মৃত শেখ মাহবুর রহমানের স্ত্রী সফুরা খাতুন, আজিজুল ইসলামের স্ত্রী স্থানীয় মহিলা মেম্বর সেলিনা খাতুন, লুৎফর রহমানের কন্যা মেহেরুন্নেছা রহিমপুর মৌজায় এস এ ১৯২ নং জে এর এর অধীনে .৩৩ একর সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে। নিয়ে ভুক্তভোগী সামসুল আলম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭৭৬/২১।
ভুক্তভোগী সামসুল আলম জানান, উক্ত মামলায় আদালত ১৪৫ ধারা জারি করেন। এতে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও খুন জখমের চেষ্টা করে। এর জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২৭/৯/২১ তারিখে আমাদের উপর হামলা করে এবং উক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ করে ঘেরাবেড়া কাটাসহ সীমানা পিলার ভাংচুর করে। এতে শামসুল আলম বাধা দিতে গেলে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে।
আকবরের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন কৌশলে আমাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করে। একপর্যায়ে সুফিয়া খাতুন আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেলাঠেলি করতে থাকে। আর তা পিছন ভিডিও ধারন করে উল্লেখিত ব্যক্তিতের আতœীয় নুরুজ্জামান। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তির রক্ষা করতে এবং আমার বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।