নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারপিট ও হত্যা চেষ্টার পর স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী আদালতে মামলা দায়ের করায় স্বামী রফিকুল ইসলাম ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে স্ত্রীকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শ্যামনগর উপজেলার পূর্বকৈখালী গ্রামের রুহুল আমিনের কন্যা মোছা: নুর বানু। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার ভাড়াবাড়িতে বসবাস করছেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ২৪/৫/২০০৯ তারিখে ২০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ আলীপুর সড়কখালী গ্রামের মোহাম্মাদ আলী গাজীর পুত্র রফিকুল ইসলামের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক আমার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তার ঔরশে আমার গর্ভে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বিয়ের কয়েকবছর পর থেকে আমার স্বামী রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে আমার পিতার কাছে যৌতুক দাবি করতে থাকে। আমার পিতা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। যে কারণে স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের টাকা আমার পিতার পক্ষে দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
তারপরও বিভিন্ন সময়ে তার দাবি মেটানোর চেষ্টা করেছেন আমার পিতা। তিনি আরো বলেন, গত ১২/৯/২০২১ তারিখে স্বামী রফিকুল আমার বাবার কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা যৌতুক আনার আমাকে চাপ সৃষ্টি করে।
আমি পিতার কাছ টাকা আনতে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামী আমাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় আমার স্বামী আমাকে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং ঘরে তালা লাগিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে আমি পিতার বাড়িতে চলে আসি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
মামলার বিষয়ে অবগত হয়ে স্বামী রফিকুল ইসলাম ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আমাকে মারপিট করে। মামলা তুলে নিতে বর্তমানে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আমার ছোট ছোট ভাইদের মিথ্যা মামলা জড়িয়ে হয়রানি করবে মর্মেও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
বর্তমানে তার হুমকিতে আমি এবং আমার পিতার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় একজন অসহায় নারী হিসেবে যৌতুকলোভী স্বামী রফিকুল ইসলামের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগীর পিতা রুহুল আমিন, মাতা মঞ্জুয়ারা বেগম, একমাত্র শিশু সন্তান লামিয়া সুলতানা।