ডেস্ক রিপোর্ট: নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উল্লেখ করেছেন কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী মেরি ক্লড বিবেউ। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার কানাডায় ‘ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেনন্স’-এ সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মেরি-ক্লড বিবেউ। শেখ হাসিনাকে নিজের বক্তব্য দিতে আহ্বানের সময় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ট্রিয়লের হায়াত রিজেন্সিতে গতকাল দুই দিনব্যাপী এই ফিফথ গ্লোবাল ফান্ড রিপ্লেনিশমেন্ট সম্মেলন শুরু হয়েছে।
মেরি-ক্লড বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মতো কিছু নেই, যিনি নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ।’
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ছাড়াও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সল, টোগোর প্রেসিডেন্ট ফউরি জিনাসিব, গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক মার্ক আর ডাইবুল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা লা ফ্রাঙ্কোফোনির মহাসচিব মিসাইল জেন বক্তব্য দেন।
নিজের বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে নারীর সংযুক্তিতে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা তিনটি বিশেষ দিকের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রথমত, নারীর ক্ষমতায়নে তাঁর সরকার মেয়েদের শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা নারীর ক্ষমতায়নে খুবই শক্তিশালী একটি উপাদান।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছি। তাদের বিভিন্ন প্রকার বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এ সব পদক্ষেপ শুধু মেয়েদের স্কুলগামী বা তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে উন্নয়নই করছে না, এতে বাল্যবিবাহ, মাতৃত্ব ও শিশু মৃত্যুর হারও কমাচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয়ত, সহিংসতা নারীর দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এ ক্ষেত্রে নারীর প্রতি যেকোনো সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়ত, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জন্য সারাদেশে ১৬ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে গুণগতমানের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট