বিনোদন ডেস্ক : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিন পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলাটি বদলি হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করে পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন আদালতের মূল বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় চার্জশিট গ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত বিচারক ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় পরীমনিসহ তিনজন জামিনে ছিলেন। মামলার চার্জশিট আসার পর নতুন করে জামিন নিতে হয়। আজ পরীমনিসহ তিনজন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
১৩ অক্টোবর (বুধবার) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিতে ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
১০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
ওইদিন পরীমনির আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেনেরও জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অপর দুই আসামি হলেন-আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
তারও আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন এ চিত্রনায়িকা।
৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড এবং পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি চলচ্চিত্র ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।