নিজস্ব প্রতিনিধি :
৭ মাস পূর্বে পাটকেলঘাটা থানার ভার্শা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে উর্মি খাতুনের (১৮) বিয়ে হয় নগরঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী তরিকুলের ছেলে ইমরান হোসেনের (২২) সাথে। যৌতুক হিসাবে নেওয়া ডিসকভার মোটরসাইকেল নিয়ে সুখেই চলছিল নতুন দম্পতির সংসার। বেকার থাকাতে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে যৌতুক নেওয়া মোটরসাইকেল বিক্রয় করা নিয়ে দ্বন্দ শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) কয়েকবার ওই বধুকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা। ২৬ অক্টোবর ভোর সকালে ওই বধু আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার দিতে থাকে ইমরানের পরিবার।
মেয়ের দাদা মব্বর সরদার জানান, আমার পুতনিকে গভীর রাতে নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘরের আড়াই ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। খাট থেকে চালের আড়ার দূরত্ব চার থেকে সাড়ে চার ফুট হবে। এই দূরত্বে কেউ চাইলে গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব না।
এঘটনায় স্বামী ইমরান হোসেন ও শশুর তরিকুল আত্বগোপনে আছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে, একই গ্রামে এক প্রি-ক্যডেট স্কুল শিক্ষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু জানান নগরঘাটা ইউনিয়নের কালিবাড় গ্রামের বিনয় চক্রবর্তীর ছেলে অমল চক্রবর্তী (৫২) সবার অজান্তে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে নিজের বাড়িতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায়় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পাটকেলঘাটা থানার এস আই কৃষ্ণপদ জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। গৃহবধুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদরহাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।