আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক এক গৃহবধুকে মারপিটের পর মুখে বিষ ঢেলে আতœহত্যা বলে প্রচার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর গৃহবধুর স্বামী আলমগীর পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধুর নাম সুমাইয়া পারভীন। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের আছির উদ্দীনের মেয়ে ও কলারোয়া উপজেলার সোনা বাড়িয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।
সুমাইয়ার বাবা আছিরউদ্দিন ও বাঁশদহা ইউপি সদস্য আহসান উদ্দীন জানান, তিন বছর আগে সুমাইয়ার সাথে বিয়ে হয়েছিল কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলমগীরের সাথে। বিয়ের পর থেকেই তার ওপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাতো স্বামী আলমগীর ও তার মা হামেদা খাতুনসহ তার পরিবারের লোকজন। কয়েকবার মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়েও দিয়েছে।
আমরা বারবার শালিস বিচার করেছি। সর্বশেষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে মেয়েটিকে নির্যাতন না করার অঙ্গীকার পাওয়ার পর তাকে শ^শুর বাড়ি পাঠানো হয়। এরপরও যৌতুকের দাবীতে তাকে নির্যাতন করা হতো। এক পর্যায়ে তাকে মারপিট ও নির্যাতরে পর তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামীসহ শ^শুরবাড়ির লোকজন। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনার পর তার স্বামী ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আলমগীর পালিয়ে যায়। তারা আরো জানান, এ ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার এস.আই রাশেদ বলেন, আমরা লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিষ খেয়েছেন, নাকি কেউ তাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার সময় এখনও আসেনি। তবে সাতক্ষীরা থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ##