প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জবর দখলকারীর কাছ থেকে দোকান ঘর উদ্ধারের দাবীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, প্রাণ সায়ের এলাকার মোঃ মজনুর রহমানের মেয়ে মিসেস রাশিদা বকর। অসুস্থ পিতার পক্ষে তিনি বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে রাশিদা বকর বলেন, শহরের সুলতানপুর ন্যাশনাল ব্যাংক সংলগ্ন আমাদের একটি দোকান ঘর ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল পাঁচ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেন, সদর উপজেলার দক্ষিণ আলিপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে আফসার আলী। প্রতি মাসে ৬ হাজার ৬০০ টাকার চুক্তিসহ ১২ টি শর্ত উল্লেখ করে একটি লিখিত ডিড করা হয়। নিয়মানুযায়ী চুক্তি শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে দোকান ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এই নোটিশ পাওয়ার পর ভাড়াটিয়া আফসার আলী স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসানের স্বরণাপন্ন হন। কাউন্সিলর উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিসি মিমাংসা করে এই সিদ্ধান্ত দেন যে, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের মধ্যে মালিক বরাবর বুঝিয়ে দিয়ে দোকান ঘরটি ছেড়ে দেবেন।
উভয় পক্ষ শালিস মেনে নেওয়ার পর দোকান ঘরটি জবর দখলে রাখার জন্য কৌশলে গোপনে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ভাড়াটিয়া আফসার আলী। মামলা নম্বর ২/১৯। মামলাটি ৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখ বিজ্ঞ আদালত না মঞ্জুর করে খারিজ করে দেন। এরপরও ভাড়াটিয়া আফসার আলী দোকান ঘরটি না ছেড়ে দিয়ে জবর দখলে রাখেন। এক পর্যায়ে গত ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ বিকেলে আমার পিতা মজনুর রহমান দোকানে যেয়ে আফসার আলীকে বকেয়া ঘরভাড়া পরিশোধ করে ঘরটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। এসময় ভাড়াটিয়া আফসার আলীসহ অজ্ঞাত কয়েকজন আমার পিতাকে কিল ঘুষি মেরে জখম করে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। একই সময়ে তারা আমার পিতার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশিদা বকর অরো বলেন, দোকান ঘর জবর দখলে রেখে ভাড়াটিয়া আফসার আলী গত ৩১ অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলন করেন, সেখানে তিনি প্রকৃত বিষয়টি আড়াল করে মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দোকান ঘরটির সামনে ইতোমধ্যে বালু ও ইট রাখা হয়েছে। এরপরও আফসার আলী ঘরটি ছেড়ে না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে জবর দখলে থাকতে চাইছেন। জবর দখলকারীর নিকট থেকে দোকান ঘরটি উদ্ধারের জন্য পুলিশ সুপারসহ সকলের সহায়তা কামনা করেছেন রাশিদা বকর।