প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা ঝাউডাঙ্গার ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে বিজয়ী হয়েই পরাজিত প্রার্র্র্র্র্র্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর এবং কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও খুন জখমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদরের গোবিন্দকাটি গ্রামের মৃত. বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান শেখের পুত্র আব্দুল খালেক।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার বড় ভাই আব্দুল মালেক ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে একই গ্রামের মৃত. আজিজার রহমানের পুত্র তালা প্রতীকের প্রার্থী আজাদ হোসেনের কাছে পরাজিত হন।
আজাদ হোসেনে নির্বাচনে বিজয়ের খবর পেয়ে তার উশৃংখল কর্মী মৃত শওকত আলীর পুত্র রানা, রবিউল মিস্ত্রির পুত্র সোহাগ হোসেন, আব্দুল মজিদের পুত্র আব্দুল আলিম, রেজওয়ান সরদারের পুত্র আবু হাসান, মৃত. সিরাজ উদ্দীনের পুত্র গোলাম পরোয়ার, আহম্মদ আলীর পুত্র আবু মুছা, মৃত. শহর আলীর পুত্র ওলিয়ার রহমান, জহির উদ্দীনের পুত্র তরিকুল ইসলাম, সিদ্দিক বিশ^াসের পুত্র আজহারুল ইসলাম, জোহর আলীর পুত্র গফুর হোসেন,আবু বক্কর সিদ্দিকেরপুত্র মোস্তাফিজুর রহমান, শাওন হোসেন, মৃত. আজিজার ধাবকের পুত্র জিয়াউর রহমান,
আবু সাদেকের পুত্র রইচ উদ্দীন, আব্দুল আলিমের পুত্র বাকী বিল্লাহসহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গোবিন্দকাটি তিন রাস্তার মোড়ে থাকা আমাদের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। অফিসে থাকা চেয়ার টেবিল, সহ ৪টি হ্যান্ড মাইক, ১টি মাইক সেট, ১টি সাউন্ড বক্স ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। যার মুল্য ৪লক্ষাধিক টাকা। একই দিন রাত ১০টার দিকে ভাইয়ের কর্মী আলাউদ্দীনের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করে, বাড়ির বিছলি গাদায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে ক্ষতিসাধন করে। অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ আমার ভাইসহ কর্মী সমর্থকদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। নির্বাচনে জয়ী হয়েই পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে নগ্ন হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় আজাদ। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার আড়ালে ঝাউডাঙা সদরের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে প্রতি মাসে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল, ইয়াবা ও বিদেশী মদ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে আজাদের বিরুদ্ধে। তাকে পাচারে সহযোগিতা করে আসছে একই এলাকার হাফিজুল, গোলাম, হব্বুল, ইসলাম ও নজরুলসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ি।
ইতিমধ্যে তিনি ২০ বিঘার ও বেশি জমি স্বনামে ও বেনামে বন্ধক রেখেছেন। দু’ স্ত্রীর জন্য মোজাইক টাইলস দিয়ে পৃথক দু’টি আলিশান বাড়ি বানিয়েছেন।
নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পুষেছেন ডজন খানিক মাদক ব্যবসায়ি, মাদক সেবী ও চোরাচালানিকে। ইতিমধ্যে ব্যাংকে জমিয়েছেন কোটিরও বেশি টাকা।
জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া আজাদ এক মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ভোট করার সিদ্ধান্ত নেন। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে কারণে অকারণে প্রশাসনের হয়রানির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে এটা অনুভব করেন তিনি। সে অনুযায়ী প্রায় কোটি খানেক কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। জয়ী হওয়ার প্রতিপক্ষকে দমনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি আজাদ হোসেনসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।