নিজস্ব প্রতিনিধি :
বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনের সক্রিয়তা প্রচারণার অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্বে গড়ি প্রতিপাদ্যে শনিবার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা মৎস্য প্রদর্শন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।
প্রধান অতিথি ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অধিশাখা) এ কে এম শামীম আক্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: রেজা রশীদ, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: হুসাইন সাফায়েত।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সুশীলন এর উপ-পরিচালক মোস্তফা আখতারুজ্জামান, ভিডিও ডকুমেন্টারী উপস্থাপন করেন একশন এইড বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপন তাছলিমা আক্তার, ধর্ষনের বিরুদ্ধে ১০টি পদক্ষেপের উপর বক্তব্য রাখেন জিবিভি ক্লাস্টার কোর্ডিনেটর ইউএনএফপিএ রুমানা খান, মাঠ পর্যায়ে ফাউন্ডিংস শেয়ারিং করেন কন্সালটেন্ট তাসাফফী হোসেন।
ইউএনএফপিএ এর অর্থায়নে এ্যাকশনএইড বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশীলন, প্রেরণা, স্বদেশ, সিডো, নকশীকাঁথা ও হেড এর সহযোগিতায় মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পি, দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যনার্জি, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপর পরিচালক শফিউল আযম, জেলা সহকারী সমাজসেবা অফিসার রোকনুজ্জামান, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার পুলক চক্রবর্তী, প্রেরণার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোম্বামী প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।
প্রধান অতিথি বলেন, তরুনরা চিন্তাও করতে পারবেনা আমরা কোন জায়গা থেকে কোন জায়গায় এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। ক্রমাগত দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এগিয়ে যাওয়ার কারন হচ্ছে নারী উন্নয়ন।
আমরা জানি এখন ২০৪১ আমরা নারী পুরুষ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সমান হবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে আমরা অনেক এগিয়েছি। এখন শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে।
ভবিষ্যতে প্রযুক্তি নির্ভর হবে। তাদের অবশ্যই পারিবারিক শিক্ষা দিতে হবে। ইভটেজিং এবং কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সাড়া জাগানো বিষয় হচ্ছে পাঠ্য পুস্তকের পিছনে ১০৯। প্রতিটি প্রায় ৪ থেকে ৬ হাজার ফোন রিসিভ করে আমাদের অপারেটররা। সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পদক্ষেপগ্রহণ করেন। বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধে ১০৯ একটি বড় অর্জন।
এখান থেকে মাত্র কয়েক বছর পূর্বের ছেলে মেয়ে এক সাথে স্কুলে যেতে পারতো না। এখন কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে। দ্রুত আরো পরিবর্তন হবে।