নিজস্ব প্রতিনিধি : কেক কাটা ও আলোচনাসভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা জেলা সদরের ঝাউডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস চত্বরে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
ঝাউডাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হারুনার রশীদ। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ঝাউডাঙা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মঈনুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহরাব হোসেন সাজু, মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবুল হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন, সাংগঠণিক সম্পাদক আতাউর রহমান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সোহাগ হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ যুবলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠণ হিসেবে দলকে শক্তিশালী করতে জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে নস্যাৎ করে দিয়ে বাংলাদেশে তালিবানি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
তাই যারা বিগত ঝাউডাঙা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পছন্দ না হওয়া নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে চাননি বা দলীয় নেতা হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্র্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে গালমন্দ করছেন তাদেরকে সংযত হতে হবে। নইলে আওয়ামী লীগের ঐক্য বিনষ্ট হবে। জামায়াত শিবির ও বিএনপি আবারো ২০১৩ সালের মত সাতক্ষীরাসহ সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে।
অপরদিকে স্থানীয় নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে, দলের মধ্যে হাইব্রীডরা এখন আওয়ামী লীগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তৃণমূল স্তরের নেতা কর্মীদের মতামতকে উপেক্ষা করে ঝাউডাঙায় নৌকা প্রতীক দেওয়ায় তারা হতাশ হয়েছেন। অনেকেই স্বতন্ত্র প্রাথী আওয়ামী লীগার জয়দেব ঘোষের পক্ষে কাজ করেছেন। নৌকা প্রার্থী জয়লাভ করার পর সংবর্ধনা সভায় ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাদের কুলঙ্গার বলা হয়েছে। যারা এ ধরণের আচরণ করেছেন তাদেরকে যথাসময়ে সমুচিৎ শিক্ষা দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় নেতা কর্মীদের গণজোয়ার প্রমান করে কাদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের নাড়ির টান রয়েছে।
কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।#