কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জে তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামি ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৩০টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা। উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন, ২নং বিষ্ণপুর ইউনিয়ন ও ৬নং নলতা ইউনিয়নসহ অন্যান্য কেন্দ্র গুলি ঝুকিপূর্ণ বলে জানাগেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নৌকা, স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় বাঁধা, বোমা বিস্ফোরণ, কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রির্টানিং অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে প্রার্থীরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার সব ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও নিরাপক্ষ ভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। পাশা-পাশি ভ্রাম্যমান আদালত, স্টাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অনুজ গাইন জানান, উপজেলার ১২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৪ প্রার্থী, সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৪৪৩ প্রার্থী ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৪১ প্রার্থী ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৭হাজার ৯‘শ ৮০ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৩হাজার ৮‘শ ৮৪ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১২টি, ভোট কক্ষের সংখ্যা (বুথ) ৬১৬টি। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ১১২ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৬১৬ জন ও পোলিং অফিসার ১২৩২ জন ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। ২৮ নভেম্বর রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীন ভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু, নিরাপক্ষ ও শান্তিপূর্ন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রতিটি ইউনিয়নে ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। পাশা-পাশি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনছার ভিডিপির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেবেন।
কালিগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ ৩০ ভোট কেন্দ্র
পূর্ববর্তী পোস্ট