আসাদুজ্জামান : যাতায়াতের পথে উত্ত্যক্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মাদ্রাসা ছাত্রী আজমিরা সুলতানা। তাদের ভয়ে আজমিরা এখন মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। স্যারেদের কাছে পড়তে যাবার সাহসও পাচ্ছে না সে।
রোববার সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছে আজমিরা। সংবাদ সম্মেলনে তার বাবা আজিবর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
আজমিরা শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। সংবাদ সম্মেলনে সে জানায় বাড়ি থেকে আড়াই কিলোমিটার দুরে মাদ্রাসায় প্রতিদিন পায়ে হেঁটে যেতে হয় তাকে। চলার পথে রমজাননগরের মোক্তার গাজির ছেলে মতিউর রহমান, গফফার শেখের ছেলে আলমগীর শেখ ও ইউনুস গাজির ছেলে নাজমুল গাজি তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। আজমিরা জানায়, গত ২৪ মে দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই সব বখাটেরা তাকে লক্ষ্য করে অবান্তর ভাষায় কথা বলতে থাকে। তারা তার পথ রোধ করে কু প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করায় তারা তাকে জোর করে নিকটস্থ ঘেরের বাসায় নিয়ে যাবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ সময় একজন মোটর সাইকেল চালক এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
আজমিরা জানায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে এ ব্যাপারে বিচার দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন। বাধ্য হয়ে ওই বখাটেদের বিরুদ্ধে গত ৩১ মে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দেয় আজমিরা। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বখাটের দল। তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারবার চাপ দেয়। মামলা না তুললে তোর মুখ এসিডে পুড়িয়ে দেব। তোর ভবিষ্যত নষ্ট করে দেব। রাস্তায় একা পেলে তোকে বাড়ি ফিরতে দেব না। মামলা করে কি করবি। টাকা দিলেই তো ফাইনাল হয়ে যাবে। আজমিরার অভিযোগ মামলার পরও পুলিশ তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। অথচ সেই বখাটে আসামিরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ করে আজমিরা জানায় দেশে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটেছে। অনেক মেয়ের জীবন গেছে। তাকেও যেনো এমন কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে না হয়। আজমিরা ও তার বাবা এ ব্যাপারে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট