হার্ট, লিভার থেকে শুরু করে কিডনি, অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডের মতো শরীরের বিশেষ অংশগুলোর কাজকর্ম কিছুটা হলেও লবণের ওপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত আমাদের ধারণা লবণ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যর উপকারই করে। লবণ পরিষ্কারক হিসেবেও দারুন কাজে আসে।
১। দেহের মরা ত্বক দূর করার কাজে লবণ অনন্য। গোসলের পর কনুই, হাঁটু বা এমনই অন্যান্য শুষ্ক স্থানে লবণ নিয়ে ঘষতে থাকুন। মরা ত্বক ‘মরে’ যাবে।
২। ঘরের বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কারের কাজে লবণ ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে এর সামান্য ভিনিগার ও লেবুর রস সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। তাহলে যেকোন জিনিস খুব সহজে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩। হাতে পিঁয়াজের গন্ধ দূর করতে লবণের সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে হাতে ঘষে নিন। গন্ধ দূর হবে। এছাড়া এটি ত্বকের উপর কোনও রঙের দাগ তুলতেও ব্যবহার করতে পারেন।
৪। সিলভারের পাত্র বা চামচে খুব দ্রুত কালচে ভাব চলে আসে। এদের আবার আগের মত চকচকে রূপ ফিরিয়ে দিতে পারে সোডিয়াম ক্লোরাইড। শুকনো খসখসে কাপড়ে লবণ দিয়ে রূপার জিনিসপত্রে ঘষুন। কালচে ভাব একটুও থাকবে না।
৫। তামা, ব্রোঞ্জ ও রুপোর জিনিস পরিষ্কারে লবণের জুড়ি নেই। এক্ষেত্রে লবণ ও ভিনিগারের মিশ্রণে আরো ভালো কাজ করে। মিশ্রণটি ধাতব জিনিসের উপর ভালো করে ঘষে নিন। পরিষ্কার হয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এরপর কিছুক্ষণ রোদে রেখে শুকিয়ে নিতে পারেন।
৬। ননস্টিকের প্যানে রান্নার পোড়া দাগ তুলতে লবণ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য পাত্রের উপর ২ চামচ লবণ দিন। এবার একটি শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষতে থাকুন। ধীরে ধীরে দাগ হালকা হয়ে যাবে।
৭। চোখের ফোলা ভাব দূর করতে বিউটিশিয়ানের কাছে যেতে হবে না। বাড়িতে সহজেই কাজটি সারতে পারেন। এক কাপ হালকা উষ্ণ পানিতে আধা টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এই পানিতে একটি নরম কাপড় ভিজিয়ে তা চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। ফোলাভাব চলে যাবে। সূত্রঃ ব্রাইট সাইট।