সাতক্ষীরা জেলা কালেক্টরেটের একটি রেস্তোরার মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘটিত একটি মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরাস্থ কোম্পানির সদস্যরা আহত রেস্তোরা মালিক নজরুল ইসলামকে আটক কালে তার নিকট আত্মীয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারকেও আটক করে নিয়ে যায়।
গত ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ রাত্র ১১ টায় র্যাব মারামারি সংশ্লিষ্ট মালিক নজরুল ইসলামকে তাদের হেফাজতে রেখে রাত্র ১১টায় সাংবাদিক গোলাম সরোয়ারকে ৭ ঘন্টা পর ছেড়ে দেয়।
সাংবাদিক পরিচয়ের পরও ঐ মামলায় জড়িত না থাকা সত্বেও ৭ ঘন্টা আটক রাখার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব র্যাব এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি কর্মসূচির ঘোষনা করে।
মানবাধিকার লংঘনের এ বিষয়টি নিয়ে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যস্থতায় র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াট্রন লীডার ইশতিয়াক হোসেন এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপীর নেতৃত্বে সাতক্ষীরাস্থ ওই বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ে আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এই আলোচনায় ঐ গোয়েন্দা সংস্থার জেলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা দ্বিপাক্ষিক বক্তব্য গ্রহন করেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ১৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ বেলা ১১ টায় উদ্ভুত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে উভয় পক্ষ এই মর্মে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে বিষয়টি নিয়ে কোনো পক্ষ আরকোনো প্রকার দ্বন্দে না জড়িয়ে সৌহার্দ্য বজায় রাখার অঙ্গিকারের মধ্য দিয়ে উদ্ভুত ঘটনা নিষ্পত্তি করা হয়। পরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপীর সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব এ সংক্রান্ত পূর্ব ঘোষিত সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, সাংবাদিক ফারুক মাহবুবুর রহমান, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, এসএম রেজাউল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।