নিজস্ব প্রতিনিধি :
আশাশুনির শোভনালী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সমন দিয়েছে আদালত।
গত ২০ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালত (নির্বাচনী ট্রাইবুনাল) এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত ৫ জানুয়ারী ২০২২ আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে মেম্বর পদে নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করেন জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি ও বমুখালী গ্রামের আবু তালেব গাজীর পুত্র শাহাদাৎ হোসেন।
নির্বাচনে তিনিসহ মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের দুটি কেন্দের মধ্যে বসুখালী ভোট কেন্দ্রে সঠিকভাবে গননা সম্পন্ন হলেও বালিয়াপুর কেন্দ্রে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ভোট গননায় তঞ্চকতার আশ্রয় গ্রহণ করে নিজের ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে নেয় এবং বিদ্যুতিক পাখা প্রতীকের ভোটের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। পরে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোজাম্মেল মোল্যা ৭৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছে মর্মে প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে শাহাদাত হোসেন ৭০৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছে বলে প্রচার দেওয়া হয়। অথচ প্রথমে প্রিজাইডিং অফিসার শাহাদাৎ হোসেন ৭৮১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে বলে ঘোষণা করেন।
কিন্তু পরবর্তীকালে শাহাদাত হোসেনের ভোট কমিয়ে তাকে পরাজিত করা হয়েছে। আপত্তির প্রেক্ষিতে পুন:গননার সময় পোলিং এজেন্টের আপত্তি সত্ত্বেও কোন কাজ হয়নি। অবৈধ আর্থিক লেনদেনের কারনে গননাকারী কর্মকর্তা বার বার বাথরুমে ঢুকে ফুটবল প্রতীকের ব্যান্ডেলে বিদ্যুতিক পাখার প্রতীক ঢুকিয়ে ফুটবল প্রতীকের ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্রের মধ্যে যথাসময়ে প্রবেশ করতে না দেওয়া,দ্বিতীয় গননার আবেদন প্রত্যাখান করায় উপায়ন্তর হয়ে ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালত (নির্বাচনী ট্রাইবুনাল) এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারি করেন।