নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে প্রতিপক্ষরা সভাপতি প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনারদের উপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় ছিনতাই করা হয়েছে ব্যালট।
হামলায় ৬ জন নির্বাচন কমিশনারসহ ১২ জন আহত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আইনজীবী সমিতির প্রধান ভবনের দোতলায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতাকারি সায়েদুজ্জামান সাহেদ জানান, বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সমিতির মূল ভবনের দোতলায় পুলিশের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শুরু হয়। নির্বাচন চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অ্যাড. সালাউদ্দিন, অ্যাড.আ.ক.ম রেজোয়ানউল্লাহ সবুজ, অ্যাড. এখলেছার আলী বাচ্চু, অ্যাড নুরুল আমিন,
অ্যাড. শাহানাজ পারভিন মিলি, অ্যাড. সেলিনা আক্তার শেলী, শাকিলা খাতুনসহ কয়েকজন ভোট কেন্দ্রে ঢুকে নির্বাচন কমিশনারদের উপর হামলা চালিয়ে ভোট বন্ধ রাখতে বলে। বন্ধ করতে আপত্তি করায় ছয়জন নির্বাচন কমিশনারকে মারপিট করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় ব্যালট। ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয় ব্যালট বক্স। এ খবর পেয়ে তিনি ও সভাপতি প্রার্থী অ্যাড. এম শাহ আলমসহ কয়েকজন সেখানে ছুঁটে যান।
প্রতিবাদ করায় অ্যাড. এম শাহ আলমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন অ্যাড. রেজোয়ানউল্লাহ সবুজ ও অ্যাড. নুরুল আমিন। পরে তাদের সহযোগিরা তাকে ও প্রার্থী আমিনুর রহমান চঞ্চলসহ কমপক্ষে ছয়জন আইনজীবীকে কিল ,চড় ও ঘুষি মেরে আহত করে। দখল করে নেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনারদের চেয়ার। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পইিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পৌনে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট বাপ্পি দত্ত রনি নির্বাচন স্থগিত করার নির্দেশ দেন। পরে নির্বাচন কমিশনারদের নির্বাচন সংক্রান্ত সকল জিনিসপত্র জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিতে বলা হয়।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা আইসজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. শাহানাজ পারভিন মিলি বলেন, তারা হামলা করেননি। গঠণতন্ত্র বহির্ভুতভাবে অ্যাড. শাহ আলমসহ কয়েকজন নির্বাচন প্রক্রিয়া চালাচ্ছিল। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে তিনি বাধা দিয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাড. আমিনুর রহমান চঞ্চল, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫)সহ কয়েকজন আইনজীবী অ্যাড সালাহউদ্দিনের ল’ চেম্বারে হামলা চালিয়ে দরজার ছিটকানি ভাঙচুর করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম বলেন, প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। ব্যালাট ছিনতাই করেছে। জেলা প্রশাসক আইন বহির্ভুতভাবে নির্বাচন বন্ধ করেছেন।
সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, সংঘাতের কারণে জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। বিবাদমান দু’ গ্র“পকে আলোচনার মাধ্যমে ভোট গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।#