নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ভূয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের
একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং বিভিন্ন হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে সুজন হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমরা সাতক্ষীরা শহরের সঙ্গীতামোড়স্থ পশু হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তার পাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগন। দীর্ঘ দিন যাবত সড়কের ধারে সরকারি খাস সম্পত্তিতে কেউ চা, কেউ পান বিড়ি এবং ডাব বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সেখানে ২০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানদারি করে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেন।
কিন্তু সম্প্রতি উক্ত সম্পত্তির উপর কুনজর পড়ে সদরের আলীপুর গ্রামের মেহের আলী গাজীর
পুত্র শাহিন ও ফারুক সহ কতিপয় ব্যক্তিদের। তারা বর্তমানে উক্ত সম্পত্তির মালিক দাবি করে আসছেন। অথচ উক্ত সম্পত্তির হাল রেকর্ড সরকার বাহাদুরের
নামে। এপর্যন্ত জমি দাবিকারী ব্যক্তিরা জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারেনি। সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও জীবন
জীবিকার তাগিদে আবারো বাঁশ খুটি বসিয়ে চা, পান ,ডাব বিক্রি করে থাকি।
শাহিন, ফারুকসহ কতিপয় ব্যক্তি উক্ত সম্পত্তি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করে অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের তাড়াতে পারলে সরকারের সম্পত্তি দখল নিতে পারবে। আর এ কারনেই আমাদের দরিদ্র অসহায় ক্ষুদ্র চা পান দোকানীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলায় দায়ের করে হয়রানি করে
যাচ্ছে ওই শাহিন। অথচ সেখানে শাহীন গংয়ের কোন সম্পত্তি নেই। তারা ভূয়া ডিপি ও কাগজপত্র সৃষ্টি করে দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উল্লেখিত শাহীনের দেওয়া মিথ্যা মামলায় ৮ জন দোকানী বর্তমানে হয়রানি হচ্ছেন। জেলও খেটেছেন একজন দোকানী। রমজান মাসে দোকানাদরা প্রায় বসেই আছেন। অথচ ওই মিথ্যা মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে
বর্তমানে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছি। শুধু এখানেই শেষ নয় ওই সম্পত্তি ছেড়ে না দিলে ব্যবসায়ীদের নামে আরো একাধিক মিথ্যা মামলা বিভিন্ন জেলায় দায়ের করবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে ওই খাস সম্পদ লোভী শাহীন।
আমরা শাহীনের চক্রে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমরা ক্ষুদ্র চা-পান ব্যবসায়ীরা ওই শাহীন চক্রের দেওয়া মিথ্যা মামলার হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা
পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।