নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অফিস থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান পলাশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সাবেক ক্যামেরা পার্সন। সে সদর উপজেলার পারানদাহ গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।
অভিযোগ রয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা পার্সন ও পত্রিকার সাংবাদিকদের নামের তালিকা দিয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড,
বিআরটি-এ, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়শন, ভোমরা ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষকে হুমকিসহ বিভিন্ন উপায়ে চাঁদা দাবি করছে সে।
এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা। সাংবাদিকতার মতো একটি মহান পেশার মর্যাদা হুমকির মুখে পড়েছে। বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকরা।
সাতক্ষীরা বিআরটি-এ অফিসের সুত্রে জানা যায়, ৮ জন সাংবাদিকের নাম করে পলাশ বিআরটি-এ অফিস থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, ১০ জন ক্যামেরাম্যান ও সাংবাদিকের তালিকা দিয়ে পলাশ আমার কাছে ঈদ খরচের টাকা দাবি করে। আমি ১০ জন সাংবাদিকের জন্য তার কাছে ২০ হাজার টাকা দেই। পরে শুনলাম সে সবাইকে টাকা দেয়নি। সে একটা বাটপার আমার জানা ছিলো না।
এসময় সাতক্ষীরার এনটিভির ক্যামেরা পার্সন আরিফুল ইসলাম আশা, ঢাকা মেইলের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি জাকির হোসেন মিঠু, দৈনিক সমাচারের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শহিদুজ্জামান শিমুল, মাইটিভির ক্যামেরা পার্সন,একরামুজ্জামান জনি, বিজয় টিভির ক্যামেরা পার্সন মো. হোসেন আলী, এটিএন নিউজ এর ক্যামেরা পার্সন ইয়ারুল ইসলাম,
সময় টিভির ক্যামেরান পার্সন আমিনুর রহমান সবুজ, বাংলাভিশন ও দিপ্তটিভির ক্যামেরা পার্সন রিজাউল করিম সহ সংবাদ কর্মীরা বলেন, পলাশের এই কর্মকান্ড এবার প্রথম নয়। এর আগে বিগত কয়েক বছর জেলার বিভিন্ন জায়গায় সে সাংবাদিক ও ক্যামেরাপার্সনদের কথা বলে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে থাকে। আমরা এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে, সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে যারা প্রতারণা করছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক এমনটাই দাবি জানিয়েছেন সচেতনমহলসহ জেলা সাংবাদিকরা।