প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে সদরের ব্রহ্মরাজপুর এলাকার চিহিৃত ভূমিদস্য, হুন্ডি ব্যবসায়ি ও চোরাকারবারি বিকাশ ঘোষের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা ও মিথ্যেচারের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার(২৩ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সদরের উমরাপাড়া গ্রামের সোলাইমান গাজীর ছেলে মোঃ মতিয়ার রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার পিতা সোলাইমান গাজীর বিমাতা দুই বোন মোছাঃ আমেনা খাতুন ও মোছাঃ জামেলা খাতুন বিগত ২০০০ সালের ১ অক্টোবর আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে ওয়ারেশ সূত্রে তাদের প্রাপ্য সম্পত্তির সমুদয় অংশ বুঝে নিয়ে শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখলে আছেন। পরবর্তীতে আমার ফুফুদ্বয় পুনরায় ব্রহ্মরাজপুর মৌজার আর এস ৮৪৯ নং খতিয়ানের বর্তমান ৮৩৪৭, ৮৩৫৮ ও ৮০৭২ মিলে তিনটি দাগে ২ একর ৮২ শতক জমি দাবি করলে আমরা ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে পাটিশন মামলা করি। কিন্তু ফুফু আমেনা খাতুন ও জামেলা খাতুন জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ সৃষ্টি করে উক্ত জমি বিক্রির চেষ্টা করেন।
আদালতে মামলা চলমান রয়েছে বিষয়টি জানার পরও ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের মৃত সাধন ঘোষের ছেলে বিকাশ ঘোষ ও সত্য চরণ ঘোষ অবৈধ লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে ২০২০ সালের মার্চ মাসে নামমাত্র মূল্যে হাল ৮৩৪৭, ৮৩৫৮ ও ৮০৭২ দাগ উল্লেখ করে ৬১ শতক জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ৮০৭২ দাগের ১০৮ শতক জমি ক্রয় সূত্রে মালিক আমার ভাই আজিজুল ইসলাম।
এছাড়া ওই জমিতে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের ২৫/০৮/২০২০ তারিখের একটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একই সাথে মহামান্য হাইকোর্ট ১৪/০৯/২০২০ তারিখে উভয়পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদি পক্ষ ওই জমিতে যেতে পারবে না।
ফলে অবৈধভাবে জমি দখল করতে না পেরে বিকাশ ঘোষ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
মতিয়ার রহমান আরো বলেন, বিকাশ ঘোষ এলাকার একজন চিহিৃত ভূমিদস্য। হুন্ডি ব্যবসায়ি ও চোরাকারবারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি। তার রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্ব। তিনি মন্দির ভাংচুরসহ একাধিক মামলার আসামি। বিকাশ ঘোষ আমার দুই ফুফুর ফারাজি অংশের প্রাপ্য জমিতে দখলে না গিয়ে জোর পূর্বক আমাদের বাড়ির পাশের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে বিকাশ ঘোষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোন শালিসী বৈঠকে তিনি তার স্বপক্ষের কোন প্রামন দেখাতে পারেনি।
ফলে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে নানাভাবে আমাদেরকে হয়রানি করাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছেন। নিজের হিনস্বার্থ চরিতার্থ করার মানষে বিকাশ ঘোষ সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন। আমি তার দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি ভূমিদস্যু ও চোরাকারবারি বিকাশ ঘোষ যাতে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখর করতে না পারে তার প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ ও মিথ্যে হয়রানি থেকে নিষ্কৃতি পেতে এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।