নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিমাতা ভাই ও ভাইপোদের হামলায় গুরুতর আহত আনছার আলী মারা গেছেন। রোববার ভোরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত আনছার আলী(৫৫) সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের মৃত. এছেম আলীর সরদারের পুত্র।
জানা গেছে, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের মৃত. এছম আলী সরদারের প্রথম স্ত্রীর পুত্র আনছার আলীদের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র মেম্বর হোসেন আলী গংয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৯জুন ২২ তারিখ রাত ৮টার দিকে আনছার আলীর পুত্র আব্দুর রাজ্জাক বাইপাস সংলগ্ন নিজ মৎস্য ঘেরে অবস্থান করছিল।
এসময় ঘেরের ভেড়ীর মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে মেম্বর হোসেন আলীর নেতৃত্বে তার মাদক ব্যবসায়ী পুত্র রুবেল, জুয়েল ও জুলু দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজ্জাকের উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।
তাদের মারপিটে রাজ্জাক অচেতন হয়ে পড়লে তার পিতা আনছারী আলী ছেলেকে রক্ষা করতে ঘটনাস্থলে গেলেই রুবেল ছুটে এসে তার বুকে লাথি মারে। এতেই আনছার আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মেম্বর হোসেন এবং তার অন্য দুইপুত্র জুয়েল ও জুলু তাকে বেধড়ক মারপিট করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা আব্দুর রাজ্জাক এবং তার পিতা আনছার আলীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
যার মামলা নং-২৮, ১১/০৬/২২। এঘটনার পর থেকে ইউপি সদস্য হোসেন আলীসহ তার তিনপুত্র পলাতক রয়েছে।
এদিকে, গুরুতর আহত আনছার আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রোববার সকালে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনছারী মারাযান।
এবিষয়ে নিহতের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মেম্বর হোসেনের নেতৃত্বে তার তিনপুত্র আমাকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল। আমার পিতা আনছার আলী তাদের হাত আমাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তাদের হামলায় নিজেই মারা গেছেন। তিনি পিতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বিশ্বজিত অধিকারী বলেন, মারপিটের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আহতদের মধ্যে আনছারী রোববার মারা গেছেন। ওই মামলাটিই হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আসামীরা সকলেই পলাতক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামী গ্রেফতারে পুলিশে অভিযান অব্যাহত থাকবে।