বি এম আলাউদ্দীন, আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশের রাস্তা বেহাল দশা/জানো ভোগান্তি চরম।
দীর্ঘদিন ধরে কাঁদাপানিতে গর্তে ভরা বেহাল অবস্থায় থাকার কারণে প্রতিদিন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
রবিবার (১৯ জুন) সকালে সরেজমিন গিয়ে এই ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। উপজেলা শহীদ মিনারের সামনে রাস্তা থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিকে চলে আসা ২০০ মিটার কার্পেটিং রাস্তাটি ভেঙ্গেচুরে গর্তে কাদাপানিতে পরিনিত হয়েছে।
যে রাস্তার কাঁদাপানিতে গর্তে পড়ে মোটরসাইকেল, ইঞ্জিন ভ্যান, নসিমন এবং অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন রোগীসহ উল্টে যাওয়ার মত দেখা গেছে। এতে শিশু, নারী, বৃদ্ধ এবং অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের আরও বেশি অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। রোগীবাহী একজন ভ্যান চালক জানান, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে কাদার ভিতরে আটকে যাওয়া সহ আরও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
একজন অন্তঃসত্ত্বা মাকে সাথে নিয়ে আসা রোগীর এক স্বজন জানান, সামান্য একটু রাস্তা এতদিন এভাবে অবহেলায় পড়ে আছে এটা দুঃখজনক। দেখার কেউ নেই আমার সাথে প্রেগন্যান্ট রোগী নিয়ে এসেছি, হাসপাতালের প্রবেশ পথে গর্তে পড়ে ভ্যান কাদায় আটকে গেছিলাম মনে হচ্ছে যেন রোগী নিয়ে আবার ফিরে বাড়ি যাই।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মতো একটি জরুরী সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়ার রাস্তার বেহাল দশায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এখানে সেবা নিতে আসা রোগীর আত্মীয়স্বজনরা।
এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মিজানুল হক জানান, উপজেলা পরিষদ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিকে চলে আসা রাস্তার ডানে-বাঁয়ে আশাশুনি প্রেসক্লাব, বিআরডিবি অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস এবং উপজেলা জামে মসজিদে যাতায়াতের একমাত্র এটি মেইন রাস্তা। আর সেই রাস্তা ভেঙ্গেচুরে গর্তে কাদাপানিতে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের চরম দূর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে
এবং এই রাস্তা দিয়ে আশাশুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যাতায়াতে কোমলমতি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীর আত্মীয় স্বজন এবং রোগীরা রাস্তাটি পুন:সংস্কার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।