বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের জন্য অনেক পুষ্টির প্রয়োজন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যদি দেখেন বাচ্চার গায়ে চুলকানি হচ্ছে বা মাঝে মাঝেই সর্দি বা পেটে ব্যথা, তাহলে একটু ভাল করে ওর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে নজর দিতে হবে। রোগের শিকার হওয়া, শুধু আপনার বাচ্চার পড়াশোনার ক্ষতি করে না, বরং বাচ্চাকে দুর্বল ও রোগা করে তুলে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮১% বাড়ন্ত বাচ্চা যথেষ্ট মাত্রায় লৌহ, ভিটামিন এ এবং সি পরিমাণমত পায় না। তাই ভিটামিনের অভাবে, বাচ্চার শরীর দুর্বল হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। লক্ষণ দেখে জেনে নিন কোন আয়রন বা ভিটামিনের অভাব আপনার শিশুর শরীরে।
১. ভিটামিন এঃ অভ্যন্তরীণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য শরীরের ভিটামিন এ-র প্রয়োজন হয়। এর অভাবে বাচ্চাদের প্রাথমিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষয় করে। এখান থেকেই সংক্রমণ হওয়া সম্ভাবনা শুরু করে। তাই খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাদের খাবারে যেন ঠিক মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে।
২. ভিটামিন বিঃ সাদা ব্লাড কোষের, শরীরের যত্নের জন্য ভিটামিন বি-র প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে ভিটামিন বি১২, বি৯ ও বি৬-র খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শরীরে লিম্ফোসাইটের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য। এই ভিটামিনগুলো বাচ্চার শরীরকে শক্তিশালী বানায় ও সংক্রমণ থেক রক্ষা করে।
৩. ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি-র অভাবে বাচ্চাদের শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। টি-কোষ ও ফ্যাগোসাইট হল রোগ প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় কোষ। যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি খেলে এই কোষগুলোর সৃষ্টি বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াইয়েও ভিটামিন সি-র খুব দরকার।
৪. ভিটামিন ইঃ বাচ্চাদের শরীরের সংক্রমণ রোধে ভিটামিন ই-র মধ্যে উপস্থিত এ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়োজন খুব। সূর্যমূখী ফুলের বীজ ও বাদামে এটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
৫. লৌহঃ লাল রক্তের কোষগুলোর জন্য লোহার প্রয়োজন হয়। ব্যাকটেরিয়া দূর করতে নিউট্রিফিলসের দরকার যা লোহ তে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান। লোহার অভাবে শরীরে টি-কোষের সংখ্যা কম হতে পারে। সবশেষে এটাই বলা যায়, লোহার অভাবে শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।