নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় স্থানীয় কুচক্রী মহল কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবকের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, হাড়দ্দহা গ্রামের মৃত. শৈলন্দ্রে নাথ ঘোষের পুত্র রবীণ ঘোষ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ভারতে লেখাপড়া করার সুবাধে দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করেছিলাম।
যে কারনে অন্য ভাইয়ের তাদের সম্পত্তির বুঝে নিলেও ফাকা পড়ে ছিলো আমার ভাগের সম্পত্তি। আমার মায়ের নামে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ই¯্রাফিল গাজীসহ একটি কুচক্রী মহল আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
কিন্তু আমি গত ৮ বছর পূর্বে ভারত থেকে দেশে ফিরে এসে শান্তিপূর্ণভাবে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাস শুরু করলে কুচক্রী মহল আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং কৌশলে আমাকে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
কৌশলে আমাকে ভারতে তাড়াতে পারলে আমারসহ মায়ের সম্পত্তি পুরোটাই ওই পর সম্পদ লোভী চেয়ারম্যান ই¯্রাফিলসহ অন্যারা অবৈধভাবে ভোগদখল করতে পারবে। আর এ উদ্দেশ্যেই আমার বয়োজ্যোষ্ট মাতাকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। তাদের কথামত আমার মা সাতক্ষীরা সদর থানা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পরবর্তীতে এডিসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু সব খানেই মায়ের অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়। তবে এডিসি সাহেবের সামনে সিদ্ধান্ত হয় আমার সম্পত্তি ভাগ করে বুঝিয়ে দেবে।
এতে মায়ের মত থাকলেও চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কুচক্রী মহল সেটি মানতে রাজি হয়নি। ইতোমধ্যে ৩ বছর অতিবাহিত হলেও সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। সে সময় আমি এডিসি অফিসে গিয়ে কপি চাইলে তারা বলে কপি লাগবে না, সমস্যা হলে আপনি আসবেন, আমরা দেখবো। এরপর বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান ই¯্রাফিল কয়েকবার আমাকে ডাকলেও আমি যায়নি। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর আগেও চেয়ারম্যান ই¯্রাফিলের নেতৃত্বে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ৪শ পিচ বাঁশ কেটে নিয়ে ৭ শতক জমি দখল করে নেয়। এনিয়ে আদালতে আমি একটি মামলা দায়ের করি। কোন ভাবে ওই লোভীরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিল করতে না পেরে গত ১৪.০৮.২০২২ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার, দফাদারসহ প্রায় ১৫/১৬ জন ব্যক্তিকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে আমাকে ধরে নিয়ে যেতে বলে। তারা হাতে লাঠিসোঠা নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে বলে এবং হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। আমি বের না হওয়ায় তারা ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতে থাকে। আমি জীবন বাঁচাতে বাড়ি ছাদে উঠে ফাঁকা জায়গায় ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে তারা চলে যায়। ১৫ আজস্ট ২২ তারিখে বাড়ি থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে মেম্বর আশাফুলের নেতৃত্বে জামায়াতের বাহাদুর, মিন্টু, সামছুর ও পরিষদের ৩ জন চৌকিদারসহ কতিপয় ব্যক্তি আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। আমি তাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে তাদের সহযোগিতায় জীবনে রক্ষা পেয়েছি। আমি বর্তমানে ইউপি চেয়রাম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি ওই পর সম্পদলোভী চেয়ারম্যানসহ কুচক্রী মহলের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করতে এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।