কেএম রেজাউল করিম/আরাফাত হোসেন লিটন : দেবহাটায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, তাঁতিলীগ ও তার অংঙ্গ সংগঠন। সোমবার সন্ধা সাড়ে ৭ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে পারুলিয়া বাসস্টান্ড হতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবু রায়হান চত্বরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকনের সভাপতিত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ। উল্লেখ্য যে, গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার সাবেক সফল স্বাস্থ্য মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসাদ সদস্য অধ্যাপক আলহাজ্ব ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি’র বিরুদ্ধে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ইফতার মাহফিলে আওয়ামীলীগের গুটিকয়েক সংগঠন বিরোধী নেতারা কুরচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তার প্রতিবাদে ৯জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এদিকে সংগঠন বিরোধী বক্তব্য রাখার অপরাধে শুক্রবারে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ দেবহাটা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ বিলুপ্ত ঘোষনা করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ১১জুন রবিবার উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে সদ্য বিলুপ্ত হওয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতারা। তারই প্রতিবাদে সোমবার সন্ধায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমবেশ করে মুল দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা বলেন, যে সব ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ কে নিয়ে নোংরা খেলায় লিপ্ত হয়েছেন তারা দেশ এবং জাতীর শত্রু। যারা এই কাজের সাথে জড়িত তাদের আওয়ামী লীগে ঠাই নেই। তারা ৭১এর পরাজিত শত্রুদের অনুসারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে যে চক্রান্ত করছে তা কখনো বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। অচিরেই তারা জনসমার্থন হারাবেন। যে সব নেতারা রুহুল হককে অবমাননা করেছেন তারা প্রধান মন্ত্রীকে অবমাননা করেছেন। তাই তাদের দলে থাকার কোন স্থান নেই। এসব দেশদ্রহীদের কোন কাজে আওয়ামী লীগ সমার্থন করে না। তারা যে নোংরা রাজনীতিতে নেমেছেন এখনো সময় আছে যদি তাদের বক্তব্য পরিবর্তন না করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বক্তরা আরো বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এড. গোলাম মোস্তফার কুবুদ্ধিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ গুটিকতক নেতা কমীকে দিয়ে দলকে কলঙ্কিত করতে এমন জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের ভুল বুঝিয়ে সরকারের উন্নয়নের বাধাগ্রস্থ করতে চাই। ঐসব ব্যাক্তিরা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানকে মিথ্যা কথায় বিভ্রান্ত করছেন। সেই সাথে তাকে দল থেকে বিচ্ছন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যে ভুমিকা রেখেছিলেন আজ তিনি সব ভুলেগেছেন। তাই বলব আপনি এইসব সংগঠন বিরোধী ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলুন। তা না হলে আপনিও কোন ক্ষমা পাবেন না। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতনের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা আদেও সত্য নয়। আমরা মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
পূর্ববর্তী পোস্ট