খেলার খবর: কারা হবে এশিয়ার সেরা, কারা হবে চ্যাম্পিয়ন— আজই তা নিশ্চিত হবে। এশিয়া কাপ ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
২০১৪ সালের পর আবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। শেষ বারের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা জিতেছিল। এই আসরেও সুপার ফোরের শেষ দেখায় লঙ্কানরা জিতেছে। তাই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে তারা।
অবশ্য আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে আট উইকেটে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। সে তারাই কি না বেশ ভালো অবস্থানে।
সুপার ফোরে গিয়ে তারা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে। আফগানিস্তানকে চার উইকেটে হারায়। পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ রার্নাসআপ হয়ে সুপার ফোরে ওঠে পাকিস্তান। ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল। পরের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ১৫৫ রানে জেতে।
সুপার ফোরে প্রতিশোধ নেয় পাকিস্তান, হারায় ভারতকে। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক উইকেটে জিতে ফাইনালে উঠে। অবশ্য ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলে শ্রীলঙ্কার কাছে হারে পাকিস্তান।
শিরোপা জিততে আশাবাদী শ্রীলঙ্কা। দলটির অধিনায়ক দাসুন শানাকা এ ব্যাপারে বলেন, ‘ফাইনালের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছি আমরা। এই জয়ে বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে। ফাইনাল নিয়ে আমরা সতর্ক। পাকিস্তান শক্তিশালী দল। পুরো আসরে তা দেখিয়েছে তারা। ফাইনালে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকবে তারা। তাই পাকিস্তানকে আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমরাও ছাড় দেব না। ফাইনাল জিততে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেব।’
ফাইনালে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, ‘আমাদের পেস বোলাররা ছন্দে রয়েছেন। ব্যাটারদের কোথায় ভুল, ফাইনালের আগে তা আলোচনা করতে হবে। আশা করি ফাইনালে সবাই নিজেদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করবেন। ফাইনালে জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
এখন পর্যন্ত ২২বার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ১৩ ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে। নয় ম্যাচে জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা দল : দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), দীনেশ চান্দিমাল, দানুশকা গুনাথিলাকা, পাথুম নিশাঙ্কা, চারিথ আসালঙ্কা, ভানুকা রাজাপাকসে, আসিন বান্দারা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহেশ থিকশানা, জেফ্রি ভান্দারসে, প্রভীন জয়াবিক্রমা, চামিকা করুনারত্নে, দিলশান মধুশঙ্কা, মাথেশ পাথিরানা, নুয়ান্দু ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো, প্রমোদ মধুশান ও নুয়ান থুসারা।
পাকিস্তান দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলী, ফখর জামান, হায়দার আলী, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), হাসান আলী, নাসিম শাহ, শাহনেওয়াজ দাহানি, মোহাম্মদ হাসনাইন ও উসমান কাদির।