রাজনীতির খবর: আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এদিন এ সম্মেলন হচ্ছে না। মঙ্গলবার গণভবনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বৈঠকে ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন পেছানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানান, গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আগামী ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়। তবে অনিবার্য কারণবশত এদিন সম্মেলন আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। শিগগির সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়। ওই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান গোলাম রাব্বানী। কিন্তু জাহাঙ্গীরনরগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শোভন-রাব্বানীকে পদ থেকে অব্যাহতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে পুর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকে তারা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।