দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর না করায় গৃহবধুকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে স্বামী-ভাসুর সহ স্বামীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ২ গৃহবধু বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শারিরিক নির্যাতনের শিকার খাদিজা পারভীন (২২) জানান, প্রায় ৭ বছর পূর্বে উপজেলার কোঁড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আবু ফরহাদ ফারুকের সাথে আমার বিবাহ হয়। সেখানে আমার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় খুঁটিনাটি নিয়ে আমার স্বামী আমাকে মারপিট করে আসছিল। একপর্যায়ে নির্যাতন সয্য না করেতে পেরে আমার বাবার বাড়ির লোকজনকে বলি। এরপর তারা আমার সংসার যাতে না ভেঙে যায় সেজন্য স্বামীর পরিবারের বিভিন্ন শর্ত মেনে নেয়। সাম্প্রতি আমাকে স্বামীর পরিবার থেকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। আমি তাদের কথামত সংসার করার জন্য সেখানে যায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় আমার স্বামী আবু ফরহাদ ফারুক আমাকে ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করার জন্য বলে। আমি তার কথায় রাজি না হওয়া সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ঘরের মধ্যে ২/৩ ঘন্টা আটকে রেখে আমার গর্ভের সন্তান হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। আমি নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে খবর পেয়ে আমার ভাবী হিরা পারভীন আমাকে দেখতে যায়। সে আসা মাত্র তার সাথে কথাকাটাকাটি করে স্বামীর পরিবার। এক পর্যায়ে তার উপর চড়াও হয়ে মারপিট শুরু করে স্বামী ও তার স্বজনরা। এসময় আমার ভাসুর জুম্মাত আলী, ইসরাইল, ইসমাইল, ননদ রজিনা ও ননদের স্বামী রেজাউল আমাকে এবং আমার ভাবীকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। আমরা আহত হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে তারা মারপিট বন্ধ করে। পরবর্তীতে আমার ভাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমি ও আমার ভাবি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠ বিচার প্রর্থনা করছি।
এদিকে, হামলায় আহত দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধুর শ্বাশুড়ি আনোয়ারা বেগম। তিনি জানান, তাকে পিটিয়ে জখম করায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দেবহাটা থানার এসআই হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি নিয়ে ছেলে পক্ষ বৃহস্পতিবার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেবহাটায় ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর না করায় ২ নারীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ!
পূর্ববর্তী পোস্ট