কালিগঞ্জ প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা’র একটি আবাসিক হোটেল থেকে অবৈধ মেলামেশার দায়ে কালিগঞ্জের কথিত সাংবাদিক টেমি হাফিজকে আটক করেছে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার পর্ণগ্রাফি আইনের মামলায় আটক হাফিজ এবং ও নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক হাফিজ সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
কথিত সাংবাদিক হাফিজ কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের মশরকাটি গ্রামের মৃত এলাইবকস’র ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক। বর্তমানে বাজারগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। কালিগঞ্জ উপজেলার মৎস্য আড়ৎ, আমের আড়ৎ, বালু ব্যাবসায়ীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদাবাজি করে থাকে বলে এসব ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা’র বৈশাখী হোটেল থেকে এক নারীসহ তাকে থানায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ডিউটি অফিসার এস আই হাসান।
সদর থানার ওসি মোঃ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানান, তার স্বামীর সাথে ঝগড়া হলে কথিত সাংবাদিক হাফিজের কাছে পরামর্শ নিতে যান। তখন হাফিজ কৌশলে ওই নারীর ফোন থেকে কিছু ছবি সংগ্রহ করে। সেই ছবি নিয়ে প্রথমে তার স্বামীকে ব্লাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ওই নারীকে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয়।
ওসি আরও জানান, কথিত সাংবাদিকের মোবাইলে ওই নারীর ব্লাক মেইল করার মত কিছু ছবি পাওয়া গেছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে ওই নারীর বক্তব্য সত্য। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে পর্ণগ্রাফি আইনের একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ওই নারীসহ হাফিজকে বৃহস্পতিবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তবে ওই নারীর স্বামী জানান, আমার সাথে স্ত্রীর বিরোধ হলে স্ত্রী হাফিজের সাথে যোগাযোগ করে আমার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে হাফিজ কৌশলে স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে তার সাথে রাত্রিযাপনের প্রস্তাব দিলে স্ত্রী বিষয়টি আমাকে অবগত করে।