প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পূর্ব শত্রুতার জেরে আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মন্টুর বিরুদ্ধে আপত্তি পোস্টারিং এবং ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের প্রতিকারের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম মন্টু।
মঙ্গলবার দুপুরে এ দাবি জানিয়ে মাহমুদপুর গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের পুত্র আমিনুল ইসলাম মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, আমি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এ দায়িত্ব পালনকরাকালিন সময়ে ২০১৭ সালে অশোক এবং বিলুর মধ্যে বিরোধের এক পর্যায়ে মারপিট করে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিয়ুর রহমান ময়ূর ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি আমার কাছে পাঠান। শালিস করার সময় দুলাল চন্দ্র দাস সেখানে উপস্থিত হয়ে নানা রকম মন্তব্য করায় তার সাথে আমার বিরোধ বাধে।
এরপর থেকে দুলাল চন্দ্র দাসের পুত্র প্রশান্ত দাস আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্নকরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রশান্ত দাস সাবেক আইজিপি’র শ^শুরবাড়ির কেয়ারটেকার হওয়ার সুবাধে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। এছাড়া আইজিপি’র নাম ভাঙিয়ে পুলিশে চাকুরি দেওয়ার নাম করে ইউনিয়নসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এর মধ্যে বুলারাটি গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলেকে চাকুরি পাইয়ে দিতে দুই লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। এছাড়া আশাশুনির বড়দল গ্রামের মোসলেমা খাতুন নামের এক বৃদ্ধা মহিলার কাছ থেকে তার ছেলেকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে দেড়লক্ষ টাকা গ্রহণ করে আত্মসাত করে। এছাড়াও বিদেশে পাঠানোর নাম করে এলাকাসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কাউকে বিদেশ পাঠাতে পারেনি। তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি।
বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে কম্পিউটারে ছবি এডিটিং করে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন দেওয়ালে মানহানিকর পোস্টারিং করে যাচ্ছে প্রশান্ত ও তার লোকজন।
অথচ ওই ছবির কোন ভিত্তি নেই। আমাকে কোনভাবে ঘায়েল করতে না পেরে সামাজিকভাবে হেয় করার চক্রান্তে নেমেছে প্রশান্ত গং। প্রশান্ত প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে হুমকি প্রদর্শন করে বলে “ আমার বিরুদ্ধে কিছু করলে আমি সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে মন্টুকে দল থেকে বহিস্কার করব, সারাজীবন জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো”। প্রশান্ত নাপিতের ছেলে এবং সে নিজেও নাপিতের কাজ করত অথচ বর্তমানে সে কোটিপতি। আলীশান বাড়িসহ জমিদারীভাবে চলাফেরা করে। নাপিতের ছেলের এতটাকার উৎস কী তা খুজে বের করতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার এবং দুদকের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।